ঢাকা: এক যুগ হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে যিনি কিংবদন্তিতূল্য।
এমনকি, শৈশবের ক্লাব এভারটনে ফেরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন রুনি। ২০০৪ সালে এভারটন ছেড়ে ম্যানইউতে যোগ দেওয়ার পর বেশ কয়েকবারই ক্লাব ছাড়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ২০১০ সালে তো চেলসিতে নাম লেখানোর জোরালো সম্ভাবনাই জেগেছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত ইংলিশ তারকার সঙ্গে নতুন চুক্তি করে রেড ডেভিলসরা। ২০১৩ সালে ব্লুজদের কোচ থাকাকালীন হোসে মরিনহোও রুনিকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ভাগিয়ে আনতে ব্যর্থ হন। অবশ্য, রুনি এখন তার শিষ্যই বটে। সম্প্রতি ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানইউর কোচের দায়িত্ব নেন স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’।
ওয়েইন রুনি ফাউন্ডেশন উদ্বোধনকালে রুনি বলেন, ‘ম্যানইউতে আমি এখন বেশ সুখেই আছি। ভবিষ্যতে যাই হোক না কেন, আমি অন্য কোনো প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের হয়ে খেলবো না। ’
ইংলিশ অধিনায়কের কথাতেই স্পষ্ট, তার এভারটনে প্রত্যাবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই এবং বিদেশের মাটিতেই হয়তো ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু, আপাতদৃষ্টিতে মরিনহোর পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই রয়েছেন ত্রিশ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
সদ্যই ম্যানইউর কোচের দায়িত্ব নেওয়া মরিনহোর কণ্ঠে রুনির ভূয়সী প্রশংসাই ঝরে, ‘এক দশক ধরে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় রুনি। ’
প্রসঙ্গত, ম্যানইউর জার্সিতে ববি চার্লটনের সর্বোচ্চ গোলস্কোরের রেকর্ড ভাঙতে আর মাত্র পাঁচ গোল দূরে রুনি (২৪৫)। স্বদেশী কিংবদন্তিকে টপকে ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসেছেন। এবার ক্লাব ফুটবলেও চার্লটনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রুনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এমআরএম