ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

পেনাল্টি মিসের খেসারত দিল আবাহনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
পেনাল্টি মিসের খেসারত দিল আবাহনী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: পেনাল্টি মিস করার খেসারত দিতে হলো ঢাকা আবাহনীকে। অবশেষে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আবাহনীর খেলোয়াড়দের।

 

প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা শেখ জামাল অবশেষে শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়েন।

ভাগ্য সহায় না থাকলে যেমনটি হয়। আবাহনীর বেলায় ঠিক তেমনটি হয়েছে। ম্যাচে পেনাল্টি মিস এবং আরও ৬-৭টি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে অন্যরকম হতে পারতো ফলাফল।

এদিকে, প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে ৫-৪ গোলে জয় ছিনিয়ে নেওয়া শেখ জামালের ম্যাচ মানেই গ্যালারিতে দর্শকদের উন্মাদনা।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে ম্যাচে গোল হয়েছে মোট ৬টি। খেলায় ৩-১ গোলে পিছিয়ে থাকার পরও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-৩ গোল ড্র করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই হাইতির রিক্রুট ওয়েডসন আক্রমণে গিয়ে বামপ্রান্ত থেকে নেওয়া শটটি বারের অনেক উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। এর ঠিক ২ মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে যায় আবাহনী লিমিটেড। লি টাকের বাড়িয়ে দেওয়া বলে সানডের নেওয়া শটটিও গোল পোস্টের বাইরে চলে যায়।

খেলার সাত মিনিটে ফের আক্রমণে যায় আবাহনী। জুয়েল রানার মাইনাস করা বলটি কাজে লাগাতে পারেননি সামদি ইউসুফ। ১৬ ও ২২ মিনিটে দু’দু’টি গোলের ব্যর্থ চেষ্টা করেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের লিংকন।

খেলার ২৩ মিনিটে আবারও ম্যাচের দৃশ্যপটে আবাহনীর ব্রিটিশ রিক্রুট লি টাক। প্রতিপক্ষের দুর্গ ভেদ করে শেষ পর্যন্ত লিড নিতে ব্যর্থ হন। ৩২ মিনিটে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের স্ট্রাইকার এমেকা ডালিংটন আচমকা আবাহনীর বিপদ সীমায় ডুকে পড়েন। তবে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া তার শটটি গোলকিপার শাহেদুল আলমের দক্ষতায় ব্যর্থ হয়। ৪১ মিনিটে ধানমন্ডির ক্লাবটি ডিবক্সের ভেতরে জটলার মধ্য থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ল্যান্ডি ও ডালিংটন।

ম্যাচের প্রথম গোল আসে ৪২ মিনিটের মাথায়। জামালের ফরোয়ার্ড ওয়েডসন ডালিংটনের ক্রস থেকে গোল করেন দলকে ১-০ গোলের এগিয়ে নেন।  ৪৫মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে আতিকুর রহমান ফাহাদ আবাহনীকে সমতায় ফেরান।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে হেমন্তের নেওয়া শটটি জামালের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় লিংকনের হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় আবাহনী। তবে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। সমর্থকদের পেনালিটি মিসের আফসোস করতে দেননি তিনি।  পরের মিনিটে দলকে ২-১ গোলের এগিয়ে দেন লি টাক।  ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় শেখ জামাল।

বিরতি থেকে ফিরে ৪৯মিনিটের মাথায় ১০জনের দলে পরিণত হয় আবাহনী লিমিটেড। আবাহনীর হয়ে প্রথম গোল করা আতিকুর রহমান লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। খেলোয়াড় কম থাকার পরও রক্ষণাত্মক না হয়ে উল্টো জুয়েল রানার বাড়িয়ে দেওয়া বলে সানডের নেওয়া শটটি থেকে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী লিমিটেড।  
তবে আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থাকা শেখ জামাল ছন্দে ফিরে আসে দ্বিতীয়ার্ধ্বে। ৫৫ মিনিটে শেখ জামালের হয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া ডালিংটনের শটটি প্রতিহত করতে পারেননি আবাহনীর গোলরক্ষক। ফলে ৩-২ গোলে ব্যবধান কমায় ধানমন্ডির এ ক্লাবটি।

তবে ৬৬ মিনিটে দারুন সুযোগ পায় আবাহনী। সানডের বাড়িযে দেওয়া বলে বক্সের ভেতর থেকে শেখ জামালের গোলকিপারকে ফাঁকি দিতে পারেননি হেমন্ত।

৭৫ মিনিটে  ম্যাচে সমতায় ফিরে শেখ জামাল। এয়েডসনের করা দ্বিতীয় গোলে ৩-৩ গোলে ড্র করে ম্যাচ করে। অবশেষে ম্যাচে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
এনইউ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।