ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

সানডে’র জোড়া গোলে জিতলো আবাহনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
সানডে’র জোড়া গোলে জিতলো আবাহনী

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: সানডে সিজুবার জোড়া গোলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে উত্তর বারিধারাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।

দলের হয়ে অপর গোলটি করেছেন আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি অ্যান্ড্রিউ টাক।

আর বারিধারার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ শীতল।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয়স্থানে থাকা ঢাকা আবাহনী ও তলানিতে থাকা উত্তর বারিধারার মধ্যকার। অনুমিতভাবেই কিক অফের শুরু থেকেই বারিধারাকে চাপে রাখে আবাহনী।

চাপের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে প্রথমার্ধের ৫ মিনিটের মধ্যেই দুটি ফ্রি কিক তুলে নেয় আকাশী নীল জার্সিধারীরা। তবে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে রাশেদ হোসেন পাপ্পুর শিষ্যরা। কেননা দু’দুটি ফ্রি কিক থেকে কোনো সফলতার মুখ দেখেনি জর্জ কোটানের শিষ্যরা।

তবে ফ্রি কিক থেকে সফলতা না পেলেও প্লেসিং শটে ঠিকই সফল হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ম্যাচের বয়স যখন ১৫ মিনিট ঠিক তখনই বক্সের ভেতর থেকে সানডে সিজুবা ডান পায়ের জোরালো প্লেসিং শটে বারিধারার জালে বল পাঠিয়ে ১-০ এর লিড এনে দেন।

এর ৯ মিনিট যেতে না যেতেই জ্বলে উঠেন আবাহনী মিডফিল্ডার জুয়েল রানা। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একাই গিয়েছিলেন বারিধারার রক্ষণ ভাঙতে। কিন্তু পারেননি। ফলে বক্সের ভেতর থেকে বলটি এগিয়ে দেন সতীর্থ হেমন্তকে। শেষ পর্যন্ত হেমন্তও পরাস্ত হলে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় আবাহনী।

তবে হেমন্ত ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দফায় আবার সফল হন সানডে। ৩৬ মিনিটে লি টাকের বাঁ-পায়ের ক্রস থেকে গোল পোস্টের সামনে গিয়ে হেড করেন সানডে। তার হেড থেকে আসা বলটি ফিস্ট করেন বারিধারা গোলরক্ষক মো: এরশাদ। সেই ফিস্ট থেকে রিবাউন্ড করা বলটি প্লেসিং শটে স্কোর লাইন ২-০ তে নিয়ে যান আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা।

প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটের আগেই দ্বিগুন ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে বারিধারা। কিন্তু প্রতিপক্ষের সীমানায় একবারের জন্যও গোলসূচক কোন আক্রমণ রচনা করতে না পারলে ২-০ তে পিছিয়ে থেকেই দলটিকে যেতে হয় বিরতিতে।

প্রত্যাশা করা হচ্ছিল বিরতি থেকে ফিরেই হয়তো গোল ব্যবধান কমাতে সক্ষম হবে বারিধারা। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। ৭০ মিনিটে বারিধারা সীমানায় গিয়ে জ্বলে উঠলেন আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক। আর সেই জ্বলনে জ্বলে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে গেল অল হোয়াইটরা।

তবে ৮৭ মিনিটে ব্যবধান কমানোর দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল বারিধারা। ফরোয়ার্ড মো: জাবেদ ফ্রি কিক থেকে সরাসরি পোস্টে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল ঝাপিয়ে পড়ে তা প্রতিহত করেন।

এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও ইনজুরি টাইমে বারিধারার আক্রমণ থেকে নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি আবাহনী। রক্ষণভাগকে পরাস্ত করে বক্সের ভেতর থেকে জাবেদ জালে শট নিয়েছিলেন কিন্তু তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই ফিরে আসা শটটিকে ফয়সাল আহমেদ শীতল প্লেসিং শটে জালে ঠেলে দিলে সান্তনার একটি গোল তুলে নেয় বারিধারা।

এর পরেই রেফারি বাঁশিতে শেষ ফুঁ দিলে ৩-১ এর জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থান নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে আবাহনী লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।