ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের অর্থ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচারিত খবরকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করলেন সভাপতি খোদ নিজেই। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বাফুফে ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের সামনে তিনি নিজের স্বচ্ছতার অবস্থান তুলে ধরেন।
আত্মপক্ষ সমর্থণ করে এ সময় কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই সবই মিথ্যা ও বানোয়াট খবর। কারণ এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। যেটা আমি বুঝতে পারছি, বাফুফে নির্বাচনে আমার কাছে যে গ্রুপটি হেরে গেছে, তারা বাংলাদেশ ফুটবল নিয়ে বিভিন্ন সময় ভিত্তিহীন সব অভিযোগ করে আসছে। তাদের আরও সুবিধা হয়ে গেছে ভুটানের কাছে বাংলাদেশ ওই ম্যাচটি হেরে যাওয়ায়। এটাকে উদ্দেশ্য করে পত্র পত্রিকা ও টিভিগুলো বিভিন্ন রকমের সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। সেটা আপনারা করতেই পারেন। এখানে আমার কোন অভিযোগ নেই, কারণ এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আপনারা আপনাদের মতামত দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার অভিযোগ হল, কিছু কিছু জায়গায় কিছু কিছু অসত্য খবর ছাপানো হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’
উল্লেখ্য গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দেশের একটি দৈনিক প্রত্রিকা ও বেসরকারী টেলিভিশনে কাজী সালাহউদ্দিনের আর্থিক অস্বচ্ছতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। যেখানে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাস্পিয়ন নেপালকে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নির্ধারিত টাকা দেয়া হয়নি। যেহেতু টুর্নামেন্টটি জাতির জনকের নামে সেহেতু এতে করে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ভাব মুর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সরাসরি সম্প্রচারের কথা যে সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছে, সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও কাজী সালাহউদ্দিনের ইস্টার্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি অস্বাভাবিক পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। ইউরো ২০১৬’র ফাইনাল ম্যাচে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা খেলা দেখবেন উল্লেখ করে ৪টি টিকিট কেনা হয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০ হাজার ইউরো। ’
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালাহউদ্দিন বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা আমি নিজে মোকাবেলা করবো। কারণ আমি জানি আমরা আমাদের জায়গায় স্বচ্ছ। কিছু কিছু গণমাধ্যম বলছে সরকার আমার বিরুদ্ধ তদন্ত করবে। হ্যাঁ, সরকার সেটা করতেই পারে। আমার কোনো অসুবিধা নেই। সরকার তদন্ত করলে আমরা তার উত্তর দিয়ে দেব। আমি আবার বলছি এখানে কোন কিছুই অন্যায় হচ্ছে না। ’
আর ইউরো ফুটবলের টিকিট ক্রয় ও বিক্রয় সংক্রান্ত অভিযোগটিকে অস্বীকার করে সালাহউদ্দিন জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে ইউরো কাপের ফাইনালের টিকিট বেচে আমি ৪০ হাজার ইউরো আয় করেছি। কোনো টিকিটই আমরা নেইনি এবং কোন টিকিট আমরা কিনিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমএমএস