সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় চীনে থিতু হয়েছেন। সিএসএল এ নাম লিখিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার অস্কার ও আর্জেন্টাইন সুপারস্টার কার্লোস তেভেজ।
আবার অনেকেই আছেন যারা চাইনিজ ফুটবলের অভিজ্ঞতা নিতে অনীহা দেখিয়েছেন। ওয়েইন রুনি, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ সহ আরো অনেকেই আছেন এই দলে। কিন্তু, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে চাইনিজ ক্লাবগুলোর প্রচেষ্টা অব্যাহত...
শুধু খেলোয়াড় নয়, হাইপ্রোফাইল কোচের দিকেও দৃষ্টি রাখছে সিএসএল। গত বছরই ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার পর হেবেই চায়না ফরচুনের সঙ্গে চুক্তি সই করেন ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। মরিনহোকে পেতেও উঠেপড়ে লেগেছিল তারা। সাবেক চেলস, রিয়াল মাদ্রিদ কোচের অবশ্য চীনে পাড়ি জমানোর কোনো ইচ্ছাই নেই।
এক সাক্ষাৎকারে সেটিই প্রকাশ করেছেন ৫৪ বছর বয়সী মরিনহো, ‘আমি ইতোমধ্যেই চীনে যাওয়ার বড় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কেউ এটি করতে চাইলে আমি কারো সমালোচনা করবো না। এটা তাদের পছন্দ, তাদের জীবন। শুধুমাত্র তারাই সিদ্ধান্ত নেবে ভবিষ্যতে তাদের কী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লিগের অন্যান্য ম্যানেজাররা সমালোচক, কিন্তু আমি নই। ’
চীনে যাওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন মরিনহো, ‘আমি উদ্বিগ্ন, কারণ তারা চুক্তির এমন অফার দিতে পারে যা ইউরোপে অসম্ভব। কিন্তু দিন শেষে যে খেলোয়াড় যেতে চাইবে তাকে আপনি আটকে রাখতে চাইবেন না। কল্পনা করুন কেউ একজন যার বয়স ২৪ বা ২৫ যে সেখানে যেতে চায়। ঠিক আছে, গুডবাই, সুখে থাকো...’
‘যার বয়স ৩১ বা ৩২ এবং যারা কয়েক বছরের জন্য যাবে এবং পরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পূর্ণ করে ফিরে আসবে, তাও ঠিক আছে। কিন্তু, তরুণ বয়সে সেরা প্রতিযোগিতায় থাকার সুযোগ থাকে। দেখা যাচ্ছে, তারা এখনো চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, হয়তো তাদের চলে যাওয়াটাই উত্তম। ’-যোগ করেন মরিনহো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম