ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

সাবিনার দুবাই মিশন শুরু না হতেই শেষ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
সাবিনার দুবাই মিশন শুরু না হতেই শেষ সাবিনা খাতুন/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে সাবিনা খাতুন বিদেশের ঘরোয়া ফুটবল খেলে ইতিহাস গড়েছেন আগেই। মালদ্বীপে খেলা এ গোলকন্যার সামনে ছিল আরো বড় ক্লাবের হাতছানি। দুবাইয়ের ক্লাব রোসোনারি এফসিতে ডাক পান বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক।

শিলিগুড়িতে সম্প্রতি সাফ টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে পাঁচ গোল করার পরই প্রস্তাবটা এসেছিল। সাফের পরপরই সাবিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন দুবাইয়ের রোসোনারি ক্লাবের কর্মকর্তারা।

সব কিছুই চূড়ান্ত ছিল। ভিসা হলেই দুবাইয়ে উড়াল দিতেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

কিন্তু, মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাবে খেলা হচ্ছে না সাতক্ষীরার এ বিস্ময়কর ফুটবলারের।

কারণ, দুবাইয়ের ওই ক্লাব তাকে কোনো পারিশ্রমিক দিতে রাজি হয়নি। অতিথি ফুটবলার হিসেবে সাবিনাকে খেলাতে চেয়েছিল ক্লাবটি। ২ থেকে ৩ মাস ক্লাবের খরচে সাবিনাকে রাখতে চেয়েছিল ক্লাবটি, কিন্তু কোনো পারিশ্রমিকের চুক্তি করতে চায়নি। দুবাই যাওয়া-আসার খরচ সাবিনাকেই বহন করতে হতো। সেখানে সাবিনাকে ম্যাচ খেলানোর পাশাপাশি ট্রায়াল নিতো। ভালো পারফর্ম করলে দীর্ঘমেয়াদে চুক্তির কথা জানিয়েছিল ক্লাবটি।

তাতে বাধ সাধে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফের মহিলা কমিটি সাবিনাকে বিনা পারিশ্রমিকে খেলার অনুমতি দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সাবিনাও ক্লাবটিতে খেলার আগ্রহ দেখাননি।

সাবিনা ২০১৫ সালে মালদ্বীপে খেলেছেন দেশটির পুলিশ ক্লাবের হয়ে। মালদ্বীপ উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে গোল করেছিলেন ৩৭টি। শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়। দেশকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সাবিনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।