বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাফুফে ভবনের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কথা জানানো হয়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের সঞ্চালনায় এসময় সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘জাতীয় দলের লজ্জাজনক হারের পেছনে পাইপলাইন দুর্বলতা দায়ী। এজন্য উদীয়মান তারকা ফুটবলার তৈরি করতে হবে। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে ক্যাম্পেইন করা হবে। তাই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। ’
আগামী মাসের ৯ মার্চ থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্টটির প্রাথমিক পর্ব। চূড়ান্ত পর্ব একইমাসের ২৩ তারিখ থেকে। এখনও ভেন্যু ঠিক করা হয়নি। টুর্নামেন্টের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ। তবে কোন খাত থেকে এই টাকা আসবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। পৃষ্ঠপোষকও নির্ধারিত হয়নি।
এসময় ফেডারেশনের সিনিয়র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, ‘জাতীয় দলকে শক্তিশালী করতে নতুন ফুটবল তারকা বের করে আনা জরুরি। পাইপলাইনে ভালো ভালো খেলোয়াড় দরকার আছে। ’
সহ-সভাপতি বাদল রায় জানান, ‘বহু প্রতীক্ষিত সোহরাওয়ার্দি কাপ হিসেবে পরিচিত এই টুর্নামেন্ট এখন অ-১৮ জাতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট হিসেবে চালু হবে। এখন পর্যন্ত ৬০টি দল অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছাপোষণ করেছে। আমরা জেলায় জেলায় গিয়ে খেলোয়াড় বের করে নিয়ে আসবো। এজন্য ৩০ জন কোচ নিয়োজিত থাকবেন। তারা খেলোয়াড়ের বয়স নির্ধারণ ও দল প্রস্তুতির পাশাপাশি ৬-৭ দিনের প্রশিক্ষণ দেবেন।
এসময় তিনি তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার বিষয়টি লক্ষ্য করার জন্য বাফুফের কাছে অনুরোধ জানান। টুর্নামেন্টের পর সেরা খেলোয়ারদের নিয়ে কী রকম প্রস্তুতি নিতে হবে তারও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার ব্যাপারে তাগিদ দেন।
ফুটবলে সুদিন ফেরানোর জন্য বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাফুফের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় দলে শক্ত পাইপলাইন নেই। সেজন্য এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সেরা খেলোয়াড়দের বের করে আনতে হবে। ’
জেলার দলগুলোকে প্রস্তুতির জন্য তিন ধাপে ৪৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। চ্যাম্পিয়ন দল এক লাখ টাকা এবং রানারআপ দল পাবে ৫০ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবুল, সত্যজিত দাস রুপুসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম