রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাগুরায় স্থানীয় আছাদুজ্জামান ফুটবল একাডেমি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামে এই দুই দল।
২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামে শিরোপার জন্য ক্ষুধার্তই ছিল এই মৌসুমের বিগ বাজেটের দল শেখ রাসেল।
নির্ধারিত সময়ের পর ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। তাতে, নৌবাহিনীর ওয়েলসন নিজের নেওয়া পেনাল্টি শট মিস করেন। শেখ রাসেলের পাঁচটি শটই জালে জড়ায়। ফলে, ৫-৪ ব্যবধানের জয় নিয়ে মৌসুমের শেষ ভাগে এসে শিরোপা ঘরে তুললো শেখ রাসেল।
এর আগে প্রথম সেমি-ফাইনালের ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় শেখ রাসেলকে পেনাল্টি শুটআউটে ৭-৬ গোলের ব্যবধানে হারায়। তবে, অবৈধ খেলোয়াড় খেলানোর দায়ে মোহামেডানকে বাইলজ অনুযায়ী ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। ফলে, ফাইনালের টিকিট পায় শেখ রাসেল।
শেখ রাসেলের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালের ম্যাচে সিও জুনাপিও ও মোস্তফা নামের দুই ফুটবলারকে খেলিয়েছিল মোহামেডান। এই টুর্নামেন্টেই তারা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে আরেকটি দলের হয়ে। টুর্নামেন্টের বাইলজে বলা আছে, একজন খেলোয়াড় কোনো দলের হয়ে মাঠে নেমে গেলে সে আর এই আসরে অন্য কোনো দলের হয়ে খেলতে পারবে না। এ ধরনের অনিয়মের জন্য মোহামেডানকে ২-০ গোলে পরাজিত করা হয়। ফলে, রোমাঞ্চকর এক জয়ের পরও আনন্দ-উৎসবটা তেমন স্থায়ী হয়নি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড বিদায় নেয়। দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে নৌবাহিনীর বিপক্ষে আকাশি-নীলরা টাইব্রেকে হেরেছে ২-১ গোলে। তাই, শিরোপার জন্য নৌবাহিনীকে লড়তে হয় দুর্দান্ত গতিতে আসর শুরু করা ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে।
জেলা ক্রিড়া সংস্থার সহযোগিতায়, বসুন্ধরা সিমেন্ট-এর পৃষ্ঠপোষকতায় মাগুরা আছাদুজ্জামান ফুটবল একাডেমি এ টুর্নামেন্ট-এর আয়োজন করে। গত ২০ জানুয়ারি ক্রিড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। দেশসেরা ১২ টি ফুটবল দল এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি