তবে কাছে গিয়ে ভ্যবাচ্যাকা খেতে হল। ছয় জনের দলের একজন চুঁই বলে দিলেন, ‘বাংলাদেশের দলটি (ঢাকা আবাহনী) জিতলেই বেশি খুশি হবো।
খুশি করতে বললো না তো? এমন ভাবনায় কিছুটা আশ্চর্য ভঙ্গিতে এর কারন জানতে চাইলে চুঁই বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আছি। তাই এদেশের প্রতি আলাদা ভালোবাসা জন্মেছে। এ জন্যই বাংলাদেশের দলটি জিতলেই বেশি খুশি হবো বলছি। ’
তবে কিছুটা থেমে হেসে হেসে বলে উঠলেন, ‘পোচন জিতলেও অখুশি হবো না। ’
ঢাকা আবাহনী এদেশের ফুটবলের শীর্ষ দল শোনার পর তাদের মাঠের পারফরম্যান্স দেখে কিছুটা হতাশা ঝরল চুঁ’র কণ্ঠে। কোনোভাবেই মেলাতে পারছেন না চুঁই।
‘বাংলাদেশের লিডিং দল হিসেবে ঢাকা আবাহনীকে মাঠে খুব স্লো মনে হচ্ছে। তাদের আরও ইমপ্রুভ করা দরকার। ’- সোজাসাপ্টা বলে দিলেন চুঁই।
আলাপ বাড়তে থাকলো চুঁই’র সঙ্গে। তাতে যোগ দিলেন তার পাশে বসা লি’-ও।
স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের উপরের দিকে বড় বিলবোর্ডে শেখ কামালের ছবি দেখে তারা দুজন প্রশ্ন করলেন, ‘ওনি কে হন’। জবাবে ‘‘শেখ কামাল বাংলাদেশের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ’’এমন কথা বলা হলে তারা বলে উঠেন-‘ওহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে?’ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মোটামুটি জানাশোনা আছে বলে জানালেন তারা।
চুঁই আর লি-সহ অন্য চারজন চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) চাকরি সূত্রে অনেকদিন ধরে আছেন এ দেশে। সোমবার অফিস শেষে চলে আসেন মাঠে।
পোচন আর ঢাকা আবাহনীর খেলা দেখতে আসলেও তাদের বাড়ি পোচন শহরে পড়েনি। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সিনহাইয়ি শহরের বাসিন্দা। লি' কিছুটা ধারণা দিলেন পোচন শহর সম্পর্কেও। বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের খুব ছোট্ট একটি শহর। তবে ফুটবলের প্রতি বিশেষ টান আছে এই শহরের বাসিন্দাদের। ’
অবশ্য শেষমেষ ঢাকা আবাহনী কিংবা পোচন-হারেনি কেউ। গোলশূন্য ড্র- হওয়াই দুদলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে।
একদিকে ‘প্রিয়’ বাংলাদেশের ক্লাবটি হারেনি। অন্যদিকে নিজ দেশের দলও হারেনি। হয়তো ম্যাচ শেষে ভালো লাগার পারদটা আরও চউড়া হয়েছে চুঁই’র মনে !
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
টিএইচ/টিসি