অ্যাতলেতিকোর ক্লাব ইতিহাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের আসনে বসেন গ্রিজম্যান। ছাড়িয়ে যান প্রয়াত লুইস অ্যারাগোন্সের ১২ গোলের রেকর্ড।
বিরতির পর তিন মিনিটের মাথায় স্বাগতিকদের ম্যাচে ফেরান মিডফিল্ডার করিম বেলারাবি। কিন্তু, ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে অ্যাতলেতিকোর স্কোরশিটে নাম লেখান ফরোয়ার্ড কেভিন গামেইরো। ৬৭ মিনিটে অ্যাতলেতিকো ডিফেন্ডার স্টিফান সেভিকের আত্মঘাতি গোল করে বসেন।
নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে লেভারকুসেনের সমতায় ফেরার স্বপ্নে জল ঢেলে দেন বদলি হিসেবে নামা স্প্যানিশ তারকা ফার্নান্দো তোরেস। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর দুর্দান্ত জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আট গোলের ম্যাচে শেষ হাসি হাসে সিটিজেনরা। দু’দলের হয়ে সার্জিও আগুয়েরো ও রাদামেল ফ্যালকাও জোড়া গোল উদযাপন করেন। মোনাকোর হয়ে পেনাল্টি মিস না করলে হ্যাটট্রিক করতে পারতেন কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে ম্যানসিটিকে লিড এনে দেন রাহিম স্টার্লিং। ছয় মিনিট বাদেই ভিজিটরদের ম্যাচে ফেরান ফ্যালকাও। ৪০ মিনিটে তরুণ ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড লোতিনের গোলে পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৫৮ মিনিটে সমতা ফেরান আগুয়েরো।
এর আট মিনিট আগে স্পট কিক থেকে ব্যর্থতায় মুখ ঢাকেন ফ্যালকাও। ৬১ মিনিটে এসে তার প্রায়শ্চিত্ত করেন। ৭১ মিনিটে আবারো ম্যানসিটির ত্রাতার ভূমিকায় আর্জেন্টাইন তারকা আগুয়েরো।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি ফ্রান্সের মোনাকো। দুই তরুণ ডিফেন্ডার জন স্টোনস ও মিডফিল্ডার লেরয় সেনের ৭৭ ও ৮২ মিনিটের গোলে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশ জায়ান্টরা।
সে যাই হোক, তিনটি অ্যাওয়ে গোলই মোনাকোকে ফিরতি পর্বের ম্যাচে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। শেষ আটের মিশনে অ্যাতলেতেকো-লেভারকুসেন ও মোনাকো-ম্যানসিটি দু’টি ম্যাচই আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ২টায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম