তবে, প্রতিশোধের মঞ্চটা পুরোপুরি সাজানো থাকবে এটা বলা যাচ্ছে না। অলিম্পিকের আসরে জার্মানিকে ফাইনালে হারিয়ে আগেই একরকম প্রতিশোধ নিয়ে রেখেছে নেইমাররা।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার এই দুই পাওয়ারহাউস। যাতে একটি করে জয় দুই দলের ঝুলিতে। ২০০২ সালের ফাইনালে রোনাল্ডোর জোড়া গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। আর ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের আসরের সেমিফাইনালে বেলো হরিজন্তে স্বাগতিক ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল জার্মানরা।
ব্রাজিলের শোকেসে সব ট্রফিই ছিল, ছিল না শুধু মরীচিকা হয়ে থাকা অলিম্পিকের ট্রফিটি। গত বছর নিজেদের মাটিতে রিও অলিম্পিকের ফাইনালে জার্মানিকে পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়ে অধরা সেই ট্রফি স্পর্শ করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
জার্মানিতে ২০১১ সালে সবশেষ খেলতে গিয়েছিল ব্রাজিল। সে বছরের আগস্টে স্টুটগার্ডে নেইমার-রবিনহো গোল করলেও সেলেকাওরা হেরেছিল ৩-২ ব্যবধানে। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। দলের নতুন কোচ তিতের অধীনে ২০১৬ সালের পর থেকে ব্রাজিল টানা ছয় ম্যাচ জিতেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নেইমার বাহিনী লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে শীর্ষেই রয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষ জার্মানি বলেই ব্রাজিলিয়ানদের মনে নিশ্চিত জ্বলে উঠবে প্রতিশোধের আগুন। বেলো হরিজেন্তের এস্তাদিও মিনেইরোয় জার্মানির বিপক্ষে ২০১৪ এর বিশ্বমঞ্চে ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে ৭-১ গোলের বুক ভেঙে দেওয়া সেই পরাজয় এই প্রতিশোধের ব্যাপারটা আরেকবার টেনে আনবে। বিশ্বকাপে জার্মানদের কাছে ৭-১ গোলে হারের দুঃসহ স্মৃতিটা নিশ্চয়ই ভোলেনি নেইমার-পেলে-রোনালদো-রোনালদিনহোদের দেশটি। তাইতো দগদগে ক্ষতে প্রলেপ দিতে আরেকবার সুযোগ খুঁজবে নেইমার বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১১ মার্চ ২০১৭
এমআরপি