ফিফার র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনমন উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে বাফুফে মহলে আলোচনা চলছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় বাংলানিউজকে জানান, রেটিং কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে 'থিংকিং ট্যাংক' কাজ করছে। তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কি কি পদক্ষেপ নিলে র্যাংকিংয়ে উন্নতি হবে, এ বিষয় নিয়ে কালকের মিটিংয়ে আলোচনা হবে।
ফিফা সম্প্রতি ৯ মার্চ র্যাংকিংয়ে প্রকাশ করেছে যেখানে ইতিহাসে এবারই সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ১৯০ থেকে নেমে ১৯৩ তে। এর আগে কখনও এত কম র্যাংকিং ছিল না লাল সবুজ বাহিনীর।
গত বছর ১০ অক্টোবরের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি লাল-সবুজরা। সে দিন ভুটানের কাছে হারের পর সেই যে র্যাংকিংয়ে পতন তা এখনো অব্যাহত।
ধারাবাহিক ব্যর্থতা এই অবনমনের মূল কারণ। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট দশটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি জয়, দুটি ড্র ছাড়া বাকী ছয়টি ম্যাচই হেরেছে লাল-সবুজরা। জর্ডান, তাজিকিস্তান, মালদ্বীপ, আরব আমিরাত ও সর্বশেষ ভুটানের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। যার ফলশ্রুতিতে র্যাংকিংয়ের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
আপাতত এ থেকে উত্তরণের পথ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা। একই সঙ্গে জাতীয় দলের কোচ নিয়েও ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। নির্ধারিত হয়নি মূল কোচ। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দেশীয় কোচকেই জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বাফুফে। এ বিষয় নিয়ে এই বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
প্রতিশ্রুত বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ এই ম্যাচ খেলার একটি মাধ্যম। আছে ফিফা প্রীতিম্যাচ। এখন পর্যন্ত এর কোনোটিরই নিশ্চয়তা না মেলায় র্যাংকিংয়ের উন্নতি আশা করা যায় না। বাফুফের আগামী সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললে র্যাংকিং বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যে র্যাংকিং উন্নতির দিকে আপাতত নজর রাখছে বাফুফে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ১৫ মার্চ ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি