১০ কোটির অধিক ভক্ত বার্সার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ‘লাইক’ দিয়েছেন। এতোসংখ্যক ফলোয়ার ১ হাজার বারেরও বেশি ক্যাম্প ন্যু পূরণ করতে পারবেন! বার্সা ভক্তরা যদি একটি দেশের হন তবে এটি হবে বিশ্বের ১৪তম জনবহুল।
২০০৯ সালের অক্টোবরে ফেসবুকে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই বার্সার অগ্রগতি অব্যাহত। দ্রুতই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্পোর্টস পেজগুলোর মধ্যে জায়গা করে নেয়। মাঠে দলের অর্জনের মধ্য দিয়েই এমন উত্থান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আগেই ১০০ মিলিয়নের ঘরে প্রবেশ করেছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির বিপক্ষে অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনে ম্যাচে লিওনেল মেসির উদযাপনের ছবিটি সবচেয়ে সফল কনটেন্ট। এমন পোস্ট আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ৩.৬ মিলিয়ন নতুন ফ্যানস বার্সার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের লাইক বাটন ক্লিক করেছেন। প্রসঙ্গত, চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের ইতিহাসে ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও ৬-১ গোলে (৬-৫ অ্যাগ্রিগেট) ঘুরে দাঁড়িয়ে রূপকথার জন্ম দেয় টিম বার্সা।
বিশ্বের বৃহত্তম সোস্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১,৮৬০ মিলিয়নের অধিক। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের প্রধান টার্গেট এটি। গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এল ক্লাসিকোর সময় থেকে ভক্তদের আরও ভালো কিছুর অভিজ্ঞতা দিতে ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও ও ফেসবুক লাইভের মধ্য দিয়ে কৌশলে পরিবর্তন আনে বার্সা।
বার্সার সবচেয়ে বেশি ভক্তের দেশ ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও ব্রাজিল। এরপরেই রয়েছে মিশর, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এটাও ভুলে যাওয়া চলবে না যে, ফেসবুকের অন্যান্য অ্যাকাউন্টে বার্সার আরও ৩০ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ওমেন’স ফুটবল, ইয়ুথ ফুটবল, ফাউন্ডেশন ও ক্লাব সাপোর্টারস পেজ।
বার্সা একটি ডিজিটাল লিডার এবং এটা শুধুমাত্র ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ নয়। ইন্সটাগ্রামে ৫০ মিলিয়ন, একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্টে ৪১ মিলিয়ন ফলোয়ার। অন্যদিকে, ইউটিউবে ৩ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারস।
সব সোস্যাল মিডিয়া মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে বার্সার ২৮০ মিলিয়নের বেশি ভক্ত। ভাবা যায়!
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ২ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম