মোহনবাগান এবং আবাহনী দুই দলই এরই মধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। ঢাকায় ১৪ মার্চ মালদ্বীপের মার্জিয়া ক্লাবের কাছে হেরে পিছিয়ে আছে আবাহনী।
ঢাকার ফুটবলে খেলে যাওয়া এই খেলোয়াড় আবাহনীর বিপক্ষে খেলবেন। তবে আবাহনীর জন্য বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে তাদের রক্ষণভাগ খুবই দুর্বল। এমনিতে রক্ষণভাগের ফুটবলার তপু বর্মন, অধিনায়ক আরিফুল হক দলে নেই। তারা না থাকায় আবাহনী সেই জায়গাটা ভরাট করতে পারেনি। দলের ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফও ভারতে যেতে পারছেন না। তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন পাসপার্টের ঝামেলার কারণে। আবাহনী সামাদ ইউসুফকে ছাড়াই দল নামানোর কথা চূড়ান্ত করে রেখেছে। তবে সামাদ ইউসুফ যদি কোনোভাবে ম্যাচের আগেই কলকাতায় আসতে পারেন তাহলে তাকে মাঠে দেখাও যেতে পারে।
যদিও ক্লাব কর্মকর্তাদের সূত্র বলছে, সামাদ ইউসুফের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তারা। তারপরও যদি সে আসে সেটা ভিন্ন কথা। ক্লাব সূত্র বলছে, আরিফুল, তপু বর্মনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল না। সময় উপযোগী ছিল না। কি কারণে তারও একটা ছোট ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন সেই সূত্র। আরিফুল, তপু বর্মন, জুয়ের রানা, হেমন্ত, শাকিলদের নাম এএফসির কাছে পাঠানো ছিল। তাদের নাম রেজিস্ট্রশন করা ছিল। চাইলেই এই ফুটবলাররা আবাহনীর জার্সি গায়ে এএফসির খেলাটা খেলতে পারতেন। কিন্তু এই খেলোয়াড়রা চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের পর অনুশীলন ক্যাম্পে না আসার কারণে দল থেকে শাস্তি দেওয়া হয়। তারা নাকি অন্য ক্লাবে গিয়ে অনুশীলন করেছেন।
তারপরও অভিযুক্ত ফুটবলাররা আবাহনীতে ফিরেছিলেন। কিন্তু তাদের আর রাখা হয়নি। খেলোয়াড়রা যাওয়ার আগে মাফও চেয়েছিলেন। কিন্তু মন গলেনি। ধারণা করা হচ্ছে ওই ৫ ফুটবলারকে দলে রাখা হলে মালদ্বীপের ক্লাবের বিপক্ষেও এভাবে হারতে হতো না। এমনকি মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তা করতে হতো না। দলবদলে অন্য ক্লাবে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আরিফুলদের নিয়ে আবাহনী এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে পারতো। এখন যা আছে তাই নিয়ে ক্রোয়েশিয়ান কোচ দ্রাগো মামিচ, অমলেস সেন, নজরুল, অন্যান্য সব ফুটবলারই গেলেন কলকাতায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি