মেসিকে দেওয়া চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ডি মারিয়ার কাছে বাড়াবাড়ি বলে মনে হচ্ছে। তিনি জানান, ‘শুধু মেসি না, আমরা সবাই গালি দিয়েছি।
চিলির বিপক্ষে ম্যাচে সহকারী রেফারির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের দায়ে মেসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। চিলির বিপক্ষে ম্যাচের শেষদিকে একটি ফাউল করেন মেসি। মাঠে থাকা অবস্থায় সহকারী রেফারি মার্সেলো ভান গাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ম্যাচ শেষে এই অফিসিয়ালের সঙ্গে হাত মেলাতেও অস্বীকৃতি জানান মেসি।
মেসিকে ছাড়া আট ম্যাচে আর্জেন্টিনা পেয়েছে মাত্র ৭ পয়েন্ট। আর মেসি খেলেছেন, এমন ৬ ম্যাচে আর্জেন্টিনার অর্জন ১৫ পয়েন্ট। বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই মোট চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় মেসিকে। পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকাকে ছাড়া বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ হেরে যায় আর্জেন্টিনা।
সহকারী রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করলেও চিলি ম্যাচের পর প্রধান রেফারি সান্দ্রো রিচ্চির প্রতিবেদনে মেসির এই ক্ষোভ প্রকাশের কথা লেখা ছিল না। রিচ্চি লিখেছেন, ‘মেসি বা অন্য কারও কাছ থেকে আক্রমণাত্মক কিছু আমি শুনিনি। যদি তেমন কিছু শুনতাম, তাহলে অবশ্যই খেলাটির নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতাম। ’
এদিকে, নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এক বিবৃতিতে মেসি জানান, ‘আমার কথাগুলো কখনই সহকারী রেফারিকে উদ্দেশ্য করে বলিনি, সেগুলো বলেছিলাম উদ্দেশ্যহীনভাবে। ’
বর্তমানে আর্জেন্টিনার অবস্থানে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে। এই অবস্থানেই যদি থাকে তবে ইন্টার-কনফেডারেশনের প্লে-অফ খেলে রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপে যেতে হবে মেসি বাহিনীকে। কনমেবল অঞ্চলে সেরা চার দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ০৩ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি