২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ম্যানইউতে খেলেছেন রোনালদো। এরপর নাম লিখিয়েছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে।
রিয়ালের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত রাউল ২০১০ সালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছেড়ে পাড়ি জমান জার্মানিতে। তারকা এই ফুটবলারের নতুন ঠিকানা হয় জার্মানির ক্লাব শালকে জিরো ফোর। সে সুযোগেই রিয়ালের পর্তুগিজ তারকা রোনালদো ‘সাত নম্বর’ জার্সির মালিক হন।
ম্যানইউতে ‘সাত নম্বর’ জার্সি গায়েই সবচেয়ে সফল ছিলেন রোনালদো। ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটিতে যখন তিনি আসেন তখন কোচের দায়িত্বে ফার্গুসন। রোনালদোর হাতে ‘সাত নম্বর’ জার্সি তুলে দিয়ে কিংবদন্তি এই কোচ বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে নিয়ে আশাবাদী। আমি চাই তুমি সাত নম্বর জার্সি গায়ে খেলবে। তুমি এই জার্সিতেই খেলবে। ’ রোনালদো জানান, ‘আমি এটা শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম। কারণ, আমি জানতাম গ্রেট ফুটবলাররাই এই জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। ফুটবলের সফলতার পেছনে স্যার ফার্গুসনের অনেক কৃতিত্ব রয়েছে। তার কথা মতোই আমি সাত নম্বর জার্সি গায়ে খেলতে থাকি এবং সাফল্য পেতে থাকি। আমি শুধু ফুটবলেই সাফল্য পাইনি, আমার শারীরিক দিক দিয়েও এই জার্সিতে দারুণ সাফল্য পেয়েছি। ’
ইউনাইটেডের ঐতিহ্য, মর্যাদা আর দায়িত্বশীলতার প্রতীক ছিল ‘সাত নম্বর’ জার্সি। আর সেটিই গায়ে জড়াতে বলেন ফার্গুসন। ক্লাবটির পক্ষে জর্জ বেস্ট, স্টিভ কোপেল, ব্রায়ান রবসন, এরিক ক্যান্টোনা ও ডেভিড বেকহামের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়েরা এই জার্সিতে খেলেছিলেন। তবে, ম্যানইউতে জার্সিটির মাহাত্ম্য বুঝতে পেরে রোনালদো চেয়েছিলেন ‘২৮ নম্বর’ জার্সি। যেটি গায়ে তিনি খেলেছিলেন আগের ক্লাব স্পোর্টিংয়ে। স্পোর্টিংয়ের হয়ে লুইস ফিগো এই জার্সি নিয়ে খেলতেন। তাছাড়া, রোনালদোর স্বদেশী এই কিংবদন্তি পর্তুগালের হয়েও খেলতেন ‘সাত নম্বর’ জার্সি গায়ে। ছোটবেলা থেকে রোনালদোও স্বপ্ন দেখতেন ফিগোর মতো ‘সাত নম্বর’ জার্সিটি গায়ে জড়াতে।
ম্যানইউর হয়ে ২৯২ ম্যাচ খেলা রোনালদো আরও যোগ করেন, ‘আমি ফুটবলের উন্নতির পাশাপাশি এই খেলার আর্ট সম্পর্কে বুঝতে শিখেছি। ফার্গুসনের সঙ্গে কাজ করে আমরা অনেক শিরোপা জিতেছি। তার সঙ্গে কাজ করাটাও ছিল আমার স্বপ্ন পূরণের মতো। ’
রোনালদো ফার্গুসনের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। ধারাবাহিক সাফল্যে তার ভক্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। আর ভক্তদের কাছেই এখন তিনি পরিচিত ‘সিআর সেভেন’ নামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ০৪ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি