সবশেষ ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে ইনজুরি সময়ে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পেনাল্টিতে হার এড়িয়ে (১-১) মাঠ ছাড়ে রেড ডেভিলসরা। প্রিমিয়ার লিগে গত বছরের অক্টোবরে চেলসির মাঠে ৪-০ গোলে হারের পর থেকে অপরাজেয় ধারা ধরে রাখলেও হোম ভেন্যুতে জয়ের জন্য ধুঁকছে মরিনহোর শিষ্যরা।
এই ২০ ম্যাচের (হোম ও অ্যাওয়ে মিলিয়ে) মধ্যে ১০টিই ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়। যার মধ্যে শেষ ছয়টি হোম ম্যাচের পাঁচটিই এ তালিকায়। ওল্ড ট্রাফোর্ডে মরিনহোর অধীনে ছয়টি লিগ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে ইউনাইটেড।
১৬টি হোম ম্যাচের মধ্যে একটি হারলেও (৯টি ড্র) জয়ের হারে পূর্বসূরি লুইস ফন গাল ও ডেভিড ময়েজের ধারেকাছেও নেই মরিনহো। এক বছরের বিরতীতে (অবনমন) দ্বিতীয় বিভাগ থেকে ফিরে আসার পর যোকোনো ইউনাইটেড কোচের অর্জনের খাতায় এটি নিকৃষ্টতম!
হোসে মরিনহো (২০১৬-১৭): ৩৭.৫ শতাশংশ (১৬ ম্যাচে ৬ জয়)
লুইস ফন গাল (২০১৪-১৬): ৬৮ শতাংশ (৩৮ ম্যাচে ২৬)
রায়ান গিগস (২০১৪, অন্তর্বর্তীকালীন): ৬৭ শতাংশ (৩ ম্যাচে ২)
ডেভিড ময়েস (২০১৩-১৪): ৪৪ শতাংশ (১৬ ম্যাচে ৭)
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন (১৯৮৬-২০১৩): ৭২ শতাংশ (৫১৭ ম্যাচে ৩৭০)
রন অ্যাটকিনসন (১৯৮১-৮৬): ৫৮ শতাংশ (১১২ ম্যাচে ৬৫)
ডেভ সেক্সটন (১৯৭৭-৮১): ৫২ শতাংশ (৮৪ ম্যাচে ৪৪)
টমি ডোচার্টি (১৯৭২-৭৭): শীর্ষ লিগ: ৫৫ শতাংশ (৭৩ ম্যাচে ৪০); দ্বিতীয় বিভাগ (১৯৭৪-৭৫): ৮১ শতাশং (২১ ম্যাচে ১৭)।
চলতি মৌসুমে ম্যানইউর ৯টি লিগ ম্যাচ বাকি। তিনটি হোম ভেন্যুতে। প্রতিপক্ষ চেলসি, সোয়ানসি সিটি ও ক্রিস্টাল সিটি। পয়েন্ট টেবিলে ২৯ ম্যাচে ১৪ জয়, ১২ ড্র ও ৩ পরাজয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ইউনাইটেড। ১২ ম্যাচে ড্র ট্রেবল জয়ী ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের পর সবচেয়ে বেশি। ওই মৌসুমটিতে লিগে ১৩ ম্যাচে ড্র করেছিল ইংলিশ জায়ান্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ৬ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম