রাশিয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা চারটি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। ৫ম স্থানে থাকা দল ইন্টার কনফেডারেশন্স কাপে প্লে অফ খেলে জিততে পারলে বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০টি দেশের মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাই হওয়ায় হিসাবটা কঠিনই বলা চলে। যেকোন পাঁচটি দল চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়বে। ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে দানি আলভেজের ব্রাজিল।
১৪ ম্যাচ খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কলম্বিয়া, ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উরুগুয়ে, ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে রয়েছে চিলি, ২২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আর্জেন্টিনা। তাই ব্রাজিল ছাড়া পরের শীর্ষ চারটি দলেরই লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে।
পরের চারটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ আর্জেন্টিনার জন্য। উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা ও পেরুর বিপক্ষে মেসিকে ছাড়াই হয়তো খেলতে হবে আর্জেন্টিনাকে। মেসিবিহীন আট ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয় মাত্র একটি।
শেষ পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, দানি আলভেজের মতে, পরের বিশ্বকাপে ভালোভাবেই থাকবে আর্জেন্টিনা। তিনি জানান, ‘আর্জেন্টিনা এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। তারা রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করবে। তারা বিশ্বকাপ ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী পাওয়ারহাউজ। ফুটবলের ইতিহাস বলেও তো একটা কথা থাকে। আর্জেন্টিনার বর্তমান দলটি দারুণ, তারা দারুণভাবেই ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস করি। ’
ব্রাজিল তারকা আরও জানান, ‘এটা দেখা বিশ্ব ফুটবলের জন্য খুবই হতাশাজনক যে, আর্জেন্টিনার মতো দল বিশ্বমঞ্চে নেই, মেসির মতো ফুটবলার নেই। মাশ্চেরানো আর বাকি সব দুর্দান্ত আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে ছাড়া বিশ্বকাপ মানাবে না। ’
আর্জেন্টিনা এখন কতটা কী করে, সেটাই দেখার বিষয়। না হলে ১৯৭০ বিশ্বকাপের মতো এবারো আর্জেন্টাইন সমর্থকদের হতাশ হতে হবে। সেবার চূড়ান্ত পর্বে যেতে ব্যর্থ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। প্রথম দুই বিশ্বকাপ খেলার পর পরের তিন আসরে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল মেসি-ম্যারাডোনার দেশটি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ দিয়ে আবারও বিশ্বমঞ্চে ফিরে আসে আর্জেন্টিনা। এরপর সেই ১৯৭০ সালে একবারই বাছাইপর্বে ছিটকে পড়েছিল দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ০৭ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি