বাফুফের একদল কর্মকর্তা ক্যালেন্ডার শেষ করতে পারলেই যেন বাঁচেন। এতে করে মান বজায় রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সমন্বয়হীনতা, সীমাবদ্ধতা, অর্থের অভাব ও জনশক্তি সংকটে পিছিয়ে যায় ক্যালেন্ডারের দুটি জায়ান্ট ইভেন্ট। চলমান বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আয়োজন দুইধাপে পিছিয়ে ডিসেম্বরে নেয়া হয়েছে। এদিকে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নভেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে আগামী বছরের জানুয়ারিতে নেয়া হয়েছে।
কেন বারবার পেছানো হচ্ছে আয়োজন এমন প্রশ্নের জবাবে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলানিউজকেকে জানান, ‘এর আগে এত ইভেন্ট কোনো সালেই ছিল না। তাছাড়া কিছু সীমাবদ্ধতা তো আছে। অর্থের অভাব রয়েছে। তাছাড়া যে ইভেন্টগুলো পেছানো হয়েছে তাতে জাতীয় দল অংশ নেবে। কিন্তু সময় মতো করতে গেলে মাত্র ৭ দিনে দল মাঠে নামাতে হতো। তাতে করে খেলোয়াড়রা পা বাঁচিয়ে খেলতো। এতে টুর্নামেন্টে খারাপ খেলতো দল। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কথা শুনতে হতো। '
গেল বছরের নভেম্বরে ঢাকায় তিন দিনের সফরে এসেছিল ফিফা এবং এএফসির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে মাষ্টার প্ল্যান করার বিষয়ে তাগিদ দেন। বাস্তবমুখী পরিকল্পনা করা হলে অর্থায়ন করবে বলে নির্দেশনা দেয় ফিফা। সেজন্য ২২ লাখ ডলার অনুমোদন করে ফিফা।
এছাড়া দেশের জাতীয় দল গঠনেও তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বাফুফেতে। ক্যাম্প শেষে জাতীয় দলের কোচের ঘোষণা দেয়ার কথা থাকলেও এখনও ঝুলে আছে সিদ্ধান্ত। যার ফলে দল গঠন নিয়ে সঙ্কা দেখা গিয়েছে। জনবল সংকটেও এমন বেহাল অবস্থা হচ্ছে বলে জানান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
দায়সাড়া আয়োজন শেষ করতে গিয়ে মান বজায় রাখতে পারছে না বাফুফে। সিনিয়র ডিভিশনে দায়সাড়া আয়োজন তেমন ইশারাই দিচ্ছে। বাইলজ মানছে না সিনিয়র লিগটি। লাইসেন্সহীন কোচে বেহাল অবস্থা লিগটিতে। গোলখরাও লেগে আছে। ক্যালেন্ডার শেষ করার দৌড়ে না গিয়ে মান নিয়ে এগিয়ে যাক এমনটাই চায় অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ১০ এপ্রিল ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি