ঘরের মাঠে ইতালিয়ান জায়ান্টদের সামনে প্রতিশোধ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে, পিএসজির বিপক্ষে মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তনে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। আটদিন পর ন্যু ক্যাম্পে সেমি নির্ধারণী ফিরতি পর্বের খেলা। এ ম্যাচ দিয়ে সাবেক ক্লাব বার্সার বিপক্ষে নামবেন ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক দানি আলভেস। একই সময়ে অপর ম্যাচে মোনাকোকে আতিথ্য দেবে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
বার্লিনে অনুষ্ঠিত ২০১৫ আসরের ফাইনালে জুভিদের ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের আসনে বসেছিল বার্সা। সে যাই হোক, ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় জুভেন্টাসকে তাদের মাটিতে কখনোই হারাতে পারেনি কাতালানরা (২ ড্র, ২ হার)।
সবশেষ মালাগার কাছে হেরে লা লিগার শিরোপা দৌড়ে বড় এক ধাক্কাই খায় লুইস এনরিকের বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে চোখ রাখছে তারা।
সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তো নকআউট পর্বে (শেষ ষোলো) পিএসজির বিপক্ষে ইতিহাস গড়া সেই অভাবনীয় প্রত্যাবর্তন। ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়েও থেকেও রূপকথার জন্ম দেন মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। ৬-১ গোলের (৬-৫ অ্যাগ্রিগেট) অবিশ্বাস্য জয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতে পুরো ন্যু ক্যাম্প। পোর্তোকে ৩-০ অ্যাগ্রিগেটে হারিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে জুভেন্টাস।
ঘরের মাঠে বাড়তি আত্ববিশ্বাস যোগাচ্ছে দিবালা-হিগুয়েইনদের নিয়ে গড়া জুভেন্টাস শিবিরে। এ মৌসুমের ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের পারফরম্যান্সও চোখে পড়ার মতো। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে একমাত্র দল হিসেবে তারা এখনো অপরাজিত। শেষ চার ম্যাচেই জয় তুলে নেয়। টুর্নামেন্টে টিকে থাকা আটটি টিমের মধ্যে সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে তারা (৮ ম্যাচে ২টি)।
হোম ভেন্যুতে শেষ ১৭টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে অপরাজেয় জুভেন্টাস (১০ জয়, ৭ ড্র)। যা ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ঘরের মাটিতে তাদের রেকর্ড। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে সবশেষ হারের স্বাদ পেয়েছিল (২-০, ২০১৩)।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সবশেষ ২০০৩ সালে জুভেন্টাসের মাঠে খেলেছিল বার্সা। সেবার ১-১ সমতায় ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছিল। দীর্ঘ ১৪ বছর পর তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে দু’দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই উপভোগ করবেন দর্শকরা। শেষ হাসি কে হাসবেন সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা!
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ১১ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম