ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে দু’বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয় বার্সা-জুভেন্টাস। ২০১৫ আসরে ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল জুভিদের।
দুর্দান্ত জয়ে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখলো ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। বার্সার সামনে অলৌকিক কিছু পুনরাবৃত্তির চ্যালেঞ্জ। এর আগে অসম্ভবকে সম্ভব করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। নকআউট পর্বের (শেষ ষোলো) ইতিহাসে অকল্পনীয় প্রত্যাবর্তনের এক নতুন গল্পের প্রদর্শনী করে দেখায় তারা। পিএসজির মাঠে ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও ন্যু ক্যাম্পে ৬-১ গোলের (৬-৫ অ্যাগ্রিগেট) অবিশ্বাস্য ফলাফলে ইতিহাস গড়ে কোয়ার্টারে ওঠে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
কিন্তু, অারেকটি অ্যাওয়ে ম্যাচেও একই দশা! তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই দুই গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। দু’টিই আসে দিবালার পা থেকে। খেলা শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় বার্সার ডি-বক্স থেকে চোখ ধাঁধানো ফিনিশিং টানেন ২৩ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
পনের মিনিট বাদেই বাম পায়ের নিখুঁত শটে আবারো বল জালে পাঠান দিবালা। তার আগে মেসির অসাধারণ পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও দলকে সমতায় ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। দুর্দান্ত সেভ করেন জিয়ানলুইজি বুফন।
দ্বিতীয়ার্দের ৫৫ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে স্কোরলাইন ৩-০ করে বার্সাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনি। বল দখলে বেশ এগিয়ে থাকলেও পুরো ম্যাচ জুড়ে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের চোখেমুখে গোলের জন্য হাহাকারই ফুটে ওঠে। নির্ধারিত সময় শেষে একরাশ লজ্জা ও হতাশাই সঙ্গী হয়।
বার্সার সামনে ন্যু ক্যাম্পে ফিরতি পর্বের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ। আগামী বুধবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় হাইভোল্টেহ ম্যাচটি শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম