প্রথম দুই ম্যাচ বগলদাবা করে ফর্মের ও গ্রুপের শীর্ষে আছে বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে, দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের সবচেয়ে তলানিতে আবাহনী।
গত ১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরে প্রথম ম্যাচ শুরু করে আবাহনী। পরের ম্যাচই আবার হার। ৪ এপ্রিল ভারতের মোহনবাগানের বিপক্ষে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলের লজ্জা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা এই গ্রুপে আছে চার দলের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। ২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ শূন্য পয়েন্ট।
অন্যদিকে, প্রথম দুই ম্যাচ অনায়াসে জিতে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে বেঙ্গালুরু। প্রথম ম্যাচে স্বদেশী ক্লাব মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ভালো শুরু করে। দ্বিতীয় ম্যাচে মাজিয়াকে ন্যূনতম ব্যবধানে (১-০) হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রাখে। তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
এএফসি কাপের বর্তমান রানার্সআপ হচ্ছে বেঙ্গালুরু এফসি। প্রতিপক্ষ হিসেবে আবাহনীর ভালো পরীক্ষাই নিবে তারা। কঠিন প্রতিপক্ষ জেনেও নিজেদের সেরাটা দিতে চান আবাহনী কোচ দ্রাগো মামিচ। শীষ্যদের নিয়ে আশাবাদী কোচ।
রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে আবাহনী। কলকাতা হয়ে বিকেলে ব্যাঙ্গালুরু পৌঁছায় ‘অল ব্লুরা’। আবাহনীর ঘানাইয়ান ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফ ভিসা জটিলতায় প্রথম দুই ম্যাচ খেলতে না পারলেও তৃতীয় ম্যাচে ফিরতে পারেন।
এদিকে, ইংলিশ মিডফিল্ডার লি টাক চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিল আবাহনী। তবে পুরনো ক্লাবকে ভোলেননি লি। তিনি আবাহনীর জন্য একজন জাম্বিয়ান মিডফিল্ডারকে পাঠিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে আবাহনীর সঙ্গে অনুশীলনও করছেন।
আবাহনীর এখন ‘হারানোর’ কিছু নেই। বেঙ্গালুরুর সঙ্গে ড্র-ই জয়ের সমান! তাই পয়েন্ট নিয়ে আসাটাই হবে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ঘরোয়া ফুটবলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম