কিন্তু, পাঁচবারের ব্যালন ডি অর জয়ী মেসির মতো নিজেকে দাবি করছেন না দিবালা নিজেই। মেসির উত্তরসূরি ভাবা দিবালা নিজেকে মেসির আড়ালেই ধরে রাখতে চাইছেন।
মেসি প্রসঙ্গে দিবালার মত, ‘আমার সঙ্গে মেসির তুলনা করা হচ্ছে। এতে আমি মোটেই রাগান্বিত নই। কিন্তু, দিয়েগো ম্যারাডোনা একজনই হয়, তার সঙ্গে আমার তুলনা চলে না। তেমনি মেসিও একজনই, তার সঙ্গেও আমার তুলনা বোকামি। তাদের সঙ্গে আমার দূরত্ব অনেক বেশি। ’
ক্লাব ক্যারিয়ারে দিবালার গোল উদযাপনের ভঙ্গিও মেসির মতো। আর্জেন্টাইন ফুটবলের বর্তমান অধিনায়ক মেসিকে নিজের আইডল হিসেবেই দেখছেন দিবালা। ২০১৫ সালে পালেরমো ছেড়ে চার কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে নাম লেখান আর্জেন্টিনার উঠতি তারকা ফরোয়ার্ড দিবালা। দিবালা আগুনেই পুড়তে হচ্ছে বাকি সব ইতালিয়ান ক্লাবগুলোকে।
দিবালা আরও জানিয়েছিলেন, ‘মেসি একজনই। সে বিশ্বসেরা ফুটবলার। যেমনি ছিলেন ম্যারাডোনা। আপনি কোনো ফুটবলারকে অন্য কোনো ফুটবলারের স্থান দিতে পারেন না। এটা আমার ক্ষেত্রেও করবেন না। মেসি-ম্যারাডোনা প্রত্যেকেই চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার। আমি নিজের সেরাটা দিয়েই তাদের চাহিদা পূর্ণ করতে চাই। মেসির পাশে বাকি সব আর্জেন্টাইন ফুটবলারের মতো আমিও খেলতে উপভোগ করবো। আর তার পাশে খেলে জাতীয় দলকে জেতাতে যা করা দরকার করবো। ’
জুভেন্টাসের এই তারকার আগুনে পুড়েছে মেসির ক্লাব বার্সেলোনাও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে দিবালা জোড়া গোল করেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই মেসির মতো দেখাচ্ছেন বাঁ পায়ের জাদু। মেসির মতো সবকিছুই ঠিকঠাক থাকায় আর জাতীয়তায় মিলের কারণে এমনিতেই দিবালাকে ডাকা হচ্ছে ‘নতুন মেসি’ বলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি