মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে সাবেক ক্লাবের ডাগআউটে পা রাখবেন বায়ার্ন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত কোয়ার্টারের প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে জিনেদিন জিদানের রিয়াল। দু’টি গোলই করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ওই ম্যাচটিতে খেলতে পারেননি লেভানডফস্কি।
এদিকে, ইনজুরি সমস্যা ভাবিয়ে তুলেছে গ্যালাকটিকোদের। গ্যারেথ বেলকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে। পায়ের ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন ওয়েলস তারকা। প্রথম লেগের পর ফিরতি পর্বের ম্যাচেও দলের বাইরে রক্ষণভাগের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় পেপে ও রাফায়েল ভারান। বায়ার্নেরও এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিটনেস সমস্যায় দুই ডিফেন্ডার ম্যাটস হ্যামেলস ও জেরোম বোয়াটেংয়ের খেলা অনিশ্চিত।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ২৪ বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে রিয়াল-বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে ১৮তম। যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রেকর্ড। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে সবশেষ ১০টি অ্যাওয়ে ম্যাচের ৮টিতেই হেরে যায় বাভারিয়ানরা (২টি জয়)। শেষ পাঁচ ম্যাচেই হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। বার্নাব্যুতে তারা সবশেষ জয় পেয়েছিল ২০০১ সালে (১-০)।
রিয়ালের সামনে টানা সাত মৌসুমে সেমিতে ওঠে রেকর্ড গড়ার হাতছানি! এ মৌসুমে জুভেন্টাসের সঙ্গে তারাই একমাত্র অপরাজেয় দল (৬ জয় ও ৩ হার)। সব মিলিয়ে নিজেদের শেষ ১১টি নকআউট ম্যাচে (৭ জয় ও ৩ ড্র) একবারই হার মানে স্প্যানিশ জায়ান্টরা (০-২, গত বছর উলফসবার্গের বিপক্ষে)।
হোম ভেন্যুতে ২০১০/১১ মৌসুমে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৪০ ম্যাচের মধ্যে ৩৪টিতেই জয় তুলে নেয় রিয়াল (৪ ড্র ও ২ হার)। শেষ ৩৪টি হোম ম্যাচে একবারও গোল আদায়ে ব্যর্থ হয়নি লস ব্লাঙ্কসরা। সব মিলিয়ে বায়ার্নের সামনে কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭
এমআরএম