তবে খুব শিগগিরই বার্সা ছাড়ার সম্ভাবনাও নেই নেইমারের। বার্সা ছাড়লে পেলে-রোনাল্ডো-রোনালদিনহো-রোমারিওদের এই উত্তরসূরি খেলবেন ব্রাজিলের কোনো ক্লাবে।
শৈশবের ক্লাব সান্তোসের প্রতি তার ভালোবাসা কমেই গেছে। ২০১৩ সালে বার্সায় নাম লেখানোর পর থেকেই টানাপোড়েন চলছে সান্তোসের সঙ্গে। কারণটাও সবার জানা। বার্সার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সান্তোস নেইমারকে যেভাবে আদালতের দরজায় ঘুরিয়েছে তাতে কি আর সেই ভালোবাসা আছে? নেইমারের বার্সায় চুক্তির কারচুপির ঘটনা টেনে সান্তোস শুধু আদালত পর্যন্ত গিয়েই থামেনি, ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনও করেছিল।
সম্প্রতি শৈশবের ক্লাব সান্তোসের ১০৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাননি নেইমার। কেউ কেউ তার এমন ঘটনায় সমালোচনা করেছিলেন। নেইমার জানান, ‘আমি তাদের অভিনন্দন জানাতে বাধ্য নই। তারা আমার জন্য যা করেছে, সবকিছুর জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ক্লাবটিকে ভালোবাসি, সান্তোসের হয়ে খেলতে ভালোবাসতাম। আমার পুরো পরিবার সান্তোসের সমর্থক। এমনকি আমি নিজেও তাদের সমর্থক হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের সব ইচ্ছা পূরণে আমি বাধ্য নই। ’
নেইমার আরও যোগ করেন, ‘সান্তোসের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে, কারণ আমার পরিবারের সবাই সান্তোসের সমর্থক। শুধু একটা বাজে দিক হলো সান্তোস আমাদের বিপক্ষে আদালতে গিয়েছিল, যার কারণটা আমি এখনও বুঝতে পারছি না। ’
শৈশবের ক্লাব সান্তোসে না খেলা প্রসঙ্গে নেইমার জানান, ‘আমার খুব ইচ্ছা একদিন ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে খেলব। ভরা মারাকানায় ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে কোপা লিবের্তোদোরেসের ম্যাচ খেলব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি