অনূর্ধ্ব-১২ থেকে অ-১৯ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক তৃণমূল ফুটবলারদের নিয়ে শিগগিরই একাডেমি গড়তে যাচ্ছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাফুফে। মঙ্গলবার (০৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফের সভাপতি এ পরিকল্পনার কথা জানান।
বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘অ-১২ থেকে অ-১৯ দল এবং অন্যান্য দলগুলোও এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। বয়সভিত্তিক দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের একাডেমিতে ট্রেনিং করানো হবে যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন সমৃদ্ধ করতে কাজে আসবে। ’
এছাড়াও অ-১৪ এর জন্য ৫৫টি গেইম ট্রেনিং সেশন এবং ২০টি কোর-স্কিল সেশনের মাধ্যমে দলের দক্ষতা বাড়ানোর কার্যক্রম শুরু হবে। গেইম ট্রেনিং সেশনের আওতায় ডিফেন্ডিং, প্রেসিং, বিল্ডিং আপ এবং মিডফিল্ড/অ্যাটাকিং কম্বিনেশনের উপর জোর দেয়া হবে।
এই লক্ষ্যে অ-১৪ ও অ-১৬ থেকে ২৫-৩০ জন করে খেলোয়াড় বাছাই করে খুলনায় একাডেমি শুরু করার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। এছাড়া দুজন টেকনিক্যাল স্টাফ, গোলকিপিং কোচ, মেডিক্যাল প্রভিশন এবং এডুকেশন প্রোগ্রামও একাডেমির কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
অ-১৬ দলকে ১৫টি সেশনে চারটি কোর-স্কিলের উপর ট্রেনিং করানো হবে। অ-১৬ মেয়েদের ট্রেনিং বাফুফে ভবনের পরিবর্তে সাভারে সরিয়ে নেয়া হবে। সেখানে শুধু একজন শেফ নিয়োগ দিলেই চলবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আগামী তিন বছর ধরে অ-১৯ খেলোয়াড়দের গেইম ট্রেনিং এর উপর জোর দেয়া হবে যাতে করে তারা সিনিয়র ডিভিশনে খেলার উপযুক্ত হয়ে উঠে। ২৫ জনের এই গ্রুপের খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় বিভাগ পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। বর্তমানে তাদের জন্য দুজন টেকনিক্যাল স্টাফ, গোলকিপিং কোচ, শেফ, মনোবিদ এবং সংবাদবাহক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
অ-২৩ এবং সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা গ্রুপে সাতদিনের ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। প্রতি গ্রুপে ২৮ জন খেলোয়াড়, হেড কোচ, টেকনিক্যাল স্টাফ মেম্বার, ফিজিও থেরাপিস্টসহ অন্যান্য স্টাফ থাকবে।
এছাড়াও গোলকিপিংয়ের প্রোগ্রামের আওতায় সব গোলকিপার তাদের স্কোয়াডের পাশাপাশি গোলকিপিং কোচদের সাথেও কাজ করবে। এক্ষেত্রে স্কিল বাড়ানো এবং টেকনিক্যাল দিকের উন্নয়নের উপর জোর দেয়া হবে। টেকনিক্যাল উন্নয়নের জন্য গোলকিপারদের নিয়ে টিম সেশন আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ০২ মে, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম