টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারদের যাছাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দল গঠন করে এএফসির এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিতে হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।
তবে কত দূর এগুলো সেরাদের তুলে আনার কাজ? মানসম্মত কতজন যুব ফুটবলারকে পেয়েছে বাফুফে? এদের নিয়ে সামনের পরিকল্পনা কী সেটাই এখন ঘুরে ফিরে প্রশ্ন হয়ে সামনে ধরা দিচ্ছে।
এই বিশাল ফুটবল যজ্ঞ থেকে সেরাদের নিয়ে শর্টলিস্ট করার কথা বাফুফের। সেই উদীয়মান ফুটবলারদের নিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য বিকেএসপিতে রাখার চুক্তি করার পরিকল্পনা করেছে বাফুফে। তা এখন প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৮ যুব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ কমিটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন মহি বাংলানিউজকে জানান, ‘চুক্তির বিষয়টা অনগোয়িং প্রসেস। আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বিকেএসপিও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অতি শিগগিরই চুক্তিটি বাস্তবায়ন হবে। ’
চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে সেরাদের যাচাই-বাছাই করে প্রায় ১০০ জনের শর্টলিস্ট করছে বাফুফে। সেই শর্টলিস্টকে আরও ছোট করে ৪০ জন বাছাই করবে বাফুফের ডেভলপিং কমিটি। তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও আসন্ন এএফসির অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নেবে দেশের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তবে মানসম্মত খেলোয়াড় পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বয়স চুরির অভিযোগে বিভিন্ন শক্তিশালী দলের প্রায় ৫০ জন ফুটবলারকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
সেখানে মানসম্মত ফুটবলার কতজন পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো বার্তাই দিলেন মহিউদ্দীন মহি, ‘বহুদিন পর এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। এটা আশার সংবাদ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেমন খেলোয়াড় আছে সেটাই নিতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করে নেয়ার দ্বায়িত্বটা নিতে হবে। দেশে ফুটবলার তৈরি হচ্ছে। যদিও এখনকার ফুটবলাররা ইউরোপের দেশের ফুটবলারদের তুলনায় পিছিয়ে আছে। ’
তবে এই যুব ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রাপ্তিটাই বেশি বলে মনে করছেন এই বাফুফের সহ-সভাপতি। বেশ কয়েকজন উদীয়মান ফুটবলারকে তার মনে ধরেছে। তাদের একজন ঢাকা জেলার। টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা শাইখ শাহরিয়ার। টুর্নামেন্ট সেরা গাজীপুরের তরুণ মেরাজ হোসেনও লাইমলাইটে আছেন। বিকেএসপির গোলরক্ষক শান্ত রায় নজর কেড়েছেন।
এছাড়া বিকেএসপির সাইফুল ইসলাম, মিডফিল্ডার ফাহিম মোরশেদ, রাশেদুল আলম, রেজাউর কবিরও টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো খেলেছেন। এই খেলোয়াড়রা অবশ্য মালয়েশিয়ায় গত বছর সুপার মক কাপের প্লেট পর্বে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাছাড়া টুর্নামেন্টের অন্য দলগুলোর সেরা উদীয়মান ফুটবলাররাও এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ডেভলপিং কমিটির নজরে আছেন।
এদের মধ্যে শাইখ, শান্ত ও মেরাজের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজ প্রতিবেদকের। তারা সবাই শর্টলিস্টে থাকবেন বলে আশাবাদী। মূল দলে সুযোগ হলে নিজেদের সবটুকু নিংড়ে দিবেন বলে জানান এই তিন উদীয়মান ফুটবলার।
বিকেএসপির সঙ্গে বাফুফের চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে জানিয়ে বিকেএসপির প্রিন্সিপাল লেঃ কর্নেল ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, ‘চুক্তির খসড়া আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। অতি শিগগিরই এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। এরপর এটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ০৬ মে, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস