ক্লাব ছাড়ার পেছনে রয়েছে রোনালদোর ওপর চলমান কর বিতর্ক। এরই মধ্যে পর্তুগিজ অধিনায়কের বিরুদ্ধে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ইউরো কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে স্পেনের আয়কর দফতর।
মেক্সিকো ম্যাচ দিয়ে ফিফা কনফেডারেশনস কাপ মিশনে নামছে রোনালদোর পর্তুগাল। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে তিনি অবস্থান করছেন রাশিয়ায়। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রথমবারের মতো মর্যাদাপূর্ণ এ প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে পর্তুগিজরা।
রিয়াল কোচ জিদান জানান, ‘আমি রোনালদোর সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখছি। শুধু আমি নই, ক্লাবের কর্তারাও তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। মুঠোফোনে আমি রোনালদোর সঙ্গে কথা বলেছি। সে এই ক্লাবকে ভালোবাসে আর এখানেই থাকতে ইচ্ছুক। সে চায় না অন্য কেউ এই ইস্যুতে নাক গলাক। আমি আত্মবিশ্বাসী রোনালদো সব সমস্যার সমাধান অতি দ্রুতই হয়ে যাবে। পরের মৌসুমে দলে রোনালদোর মতো সেরা অস্ত্রকে হারাতে চাই না। ’
সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা জয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন সি আর সেভেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে জোড়া গোলও করেছিলেন তিনি। দলের সেরা অস্ত্র রোনালদোকে ফোন করেছিলেন রিয়ালের অধিনায়ক সার্জিও রামোস।
রোনালদো অবশ্য বারবারই দাবি করছেন, তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে ওঠা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ চারবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী তারকা। তবে, স্পেনের আয়কর দফতর নতুন করে তদন্ত শুরু করে রোনালদোর বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ‘ইমেজ রাইটস’ থেকে প্রাপ্ত অর্থ স্পেনের বাইরে অন্য কোনও দেশের ব্যাংকে জমা রেখেছেন রোনালদো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ১৮ জুন ২০১৭
এমআরপি