ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

রিয়ালের কিংবদন্তি হতে পারতেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
রিয়ালের কিংবদন্তি হতে পারতেন মেসি ছবি: সংগৃহীত

৩০-এ পা রাখা লিওনেল মেসি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্যারিয়ার গড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না! কথাটা কিন্তু একদম সত্যি। হোরাসিও জাগ্গিওলি যদি বার্সেলোনায় পাড়ি না জমাতেন ব্যাপারটি তাই হতো। বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের জার্সিতে মাঠ ‍মাতাতেন মেসি। ভাবা যায়!

কল্পনা করুণ কীভাবে জিনিসটা ভিন্ন রকম হতে পারতো। বার্সার জন্য পুরো ব্যাপারটি অন্য কিছুতে পরিণত হতো।

মেসির সেসময়ের এজেন্ট হোরাসিও চাইলেই রিয়ালে নিয়ে যেতে পারতেন। তাকে ধন্যবাদ দিয়েও নিশ্চয় এর প্রতিদান দিতে পারবে না কাতালানরা। বার্সাকে সাফল্য চূড়ায় এনে দেওয়ার অন্যতম কারিগর যে বিস্ময়বালক থেকে বিশ্বসেরা হয়ে ওঠা মেসি।

বার্সার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার মাত্র ১৩ বছর বয়সে রোসারিও থেকে ন্যু ক্যাম্পে আসেন। যার কৃতিত্ব স্বদেশী এজেন্ট জাগ্গিওলির। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মেসির। বার্সার সঙ্গে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্লাব ক্যারিয়ার গড়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী (ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার)।

শনিবার (২৪ জুন) ৩০তম জন্মদিন পালন করেন মেসি। কিশোর বয়সে যিনি মাদ্রিদে পাড়ি জমাতে পারতেন। হয়ে উঠতে পারতেন রিয়াল আইকন যদি জাগ্গিওলি তখন বার্সেলোনার পরিবর্তে স্প্যানিশ ক্যাপিটালে থিতু হতেন।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জীবনের পরিস্থিতির কারণে আমি বার্সেলোনায় বাস করতে গিয়েছিলাম এবং তাকে (মেসি) বার্সায় ট্রায়াল দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আমার মাদ্রিদ থাকারও সম্ভাবনা ছিল। যদি তেমনটি হতো, আমি মেসিকে মাদ্রিদের জন্য ট্রায়াল দিতে নিয়ে যেতাম। ’

‘অবশ্যই আজ মেসি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হতে পারতো। পরিবার স্পেনে আসতে চেয়েছিল, এমন একটা শহর যেখানে আমি কিছু সাপোর্ট পাব। ’-যোগ করেন হোরাসিও জাগ্গিওলি।

এমন কথার প্রকাশ এনে দিচ্ছে প্রচুর কল্পনা। যেমনটা বলা যায় নেইমার ও লুইস সুয়ারেজের জায়গায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের সঙ্গে মেসির খেলার সম্ভাবনা, কিন্তু ইতিহাস দেখিয়ে দিয়েছে যে বার্সায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেসিকে দু’হাত ভরে দিয়েছে।

একেবারে শুরুর দিকে প্রথম যখন মেসির সঙ্গে জাগ্গিওলির দেখা হয় তার মধ্যে একটা সন্দেহ কাজ করছিল। কিন্তু বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে দ্রুতই ভয়টা কেটে যায়, ‘যখন আমি তাকে এয়ারপোর্টে দেখেছিলাম, ভেবেছিলাম এই ছেলেটা একজন ‍ফুটবলার হতে পারে না, কারণ সে খুবই ছোট ও চর্মসার (হালকা পাতলা গড়ন) ছিল। আমার অনুভূতিটা ভালো হয়নি। কিন্তু যখন আমি তাকে বার্সার মাঠে ট্রেনিং করতে দেখেছি, বুঝতে পেরেছি সে একজন গ্রেট খেলোয়াড় ছিল, যে কোনো সন্দেহ ছাড়াই খেলতে পারে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ২৪ জুন, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।