কল্পনা করুণ কীভাবে জিনিসটা ভিন্ন রকম হতে পারতো। বার্সার জন্য পুরো ব্যাপারটি অন্য কিছুতে পরিণত হতো।
বার্সার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার মাত্র ১৩ বছর বয়সে রোসারিও থেকে ন্যু ক্যাম্পে আসেন। যার কৃতিত্ব স্বদেশী এজেন্ট জাগ্গিওলির। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মেসির। বার্সার সঙ্গে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্লাব ক্যারিয়ার গড়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী (ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার)।
শনিবার (২৪ জুন) ৩০তম জন্মদিন পালন করেন মেসি। কিশোর বয়সে যিনি মাদ্রিদে পাড়ি জমাতে পারতেন। হয়ে উঠতে পারতেন রিয়াল আইকন যদি জাগ্গিওলি তখন বার্সেলোনার পরিবর্তে স্প্যানিশ ক্যাপিটালে থিতু হতেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘জীবনের পরিস্থিতির কারণে আমি বার্সেলোনায় বাস করতে গিয়েছিলাম এবং তাকে (মেসি) বার্সায় ট্রায়াল দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আমার মাদ্রিদ থাকারও সম্ভাবনা ছিল। যদি তেমনটি হতো, আমি মেসিকে মাদ্রিদের জন্য ট্রায়াল দিতে নিয়ে যেতাম। ’
‘অবশ্যই আজ মেসি রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় হতে পারতো। পরিবার স্পেনে আসতে চেয়েছিল, এমন একটা শহর যেখানে আমি কিছু সাপোর্ট পাব। ’-যোগ করেন হোরাসিও জাগ্গিওলি।
এমন কথার প্রকাশ এনে দিচ্ছে প্রচুর কল্পনা। যেমনটা বলা যায় নেইমার ও লুইস সুয়ারেজের জায়গায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের সঙ্গে মেসির খেলার সম্ভাবনা, কিন্তু ইতিহাস দেখিয়ে দিয়েছে যে বার্সায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেসিকে দু’হাত ভরে দিয়েছে।
একেবারে শুরুর দিকে প্রথম যখন মেসির সঙ্গে জাগ্গিওলির দেখা হয় তার মধ্যে একটা সন্দেহ কাজ করছিল। কিন্তু বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে দ্রুতই ভয়টা কেটে যায়, ‘যখন আমি তাকে এয়ারপোর্টে দেখেছিলাম, ভেবেছিলাম এই ছেলেটা একজন ফুটবলার হতে পারে না, কারণ সে খুবই ছোট ও চর্মসার (হালকা পাতলা গড়ন) ছিল। আমার অনুভূতিটা ভালো হয়নি। কিন্তু যখন আমি তাকে বার্সার মাঠে ট্রেনিং করতে দেখেছি, বুঝতে পেরেছি সে একজন গ্রেট খেলোয়াড় ছিল, যে কোনো সন্দেহ ছাড়াই খেলতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ২৪ জুন, ২০১৭
এমআরএম