লা লিগার মৌসুম শেষ। চ্যাম্পিয়নস লিগ নেই, নেই আর্জেন্টিনার কোন আন্তর্জাতিক কিংবা প্রীতি ম্যাচও।
আর আজ তাকে নিয়ে লেখার কারণ অনেকেই হয়তো জানেন, তারপরেও বলছি, গতকাল শুক্রবার (৩০ জুন) রাতে নিজ শহর রোজারিওতে দীর্ঘ দিনের বান্ধবী আন্তোনিলা রোকুজ্জোর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই জাদুকরী ফুটবলার। বাল্য বান্ধবী রোকুজ্জোই তার টাইর নট বেঁধে দিয়েছেন। বেছে নিয়ে জীবনসঙ্গী হিসেবে, শুরু করেছেন জীবনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।
অবশ্য বান্ধবী থাকা কালীন অবস্থায়ই রোকজ্জুর কোল জুড়ে এসেছে মেসির দুই পুত্র সন্তান, থিয়েগো ও মাতেও। থাকতেনও এক ছাদের নিচে।
বলে রাখা ভাল এই রোজারিও শহরেই বেড়ে উঠেছেন মেসি ও রোকুজ্জো। সেই ৯ বছর বয়স থেকেই দুজনের মন দেয়া নেয়া চলেছে এই শহরে। কালের পরিক্রমায় রোজারিও শহর বদলেছে, বদলেছে সেই ছোট মেসি ও রোকুজ্জোর জীবন প্রবাহও। কিন্তু বদলায়নি একে অপরের প্রতি ভালবাসা। তাইতো ছোট বেলার ভালবাসাকে এমন সুন্দর ও পরিপূর্ণ একটি রুপ দিলেন এই প্রেমিক।
মেসি, রোকুজ্জোর বিয়ের দিনে তাদের শুভকামনা জানাতে এসেছিলেন বার্সেলোনা ও আর্জেন্টাইন সতীর্থরা । স্বদেশী সতীর্থদের মধ্যে মেসির আনন্দঘন এই দিনে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, হাভিয়ের মাশ্চেরানো, ইজিয়েল লাভেজ্জি, সার্জিও আগুয়েরো।
আর বার্সা সতীর্থদের মধ্যে ছিলেন, কার্লোস পুয়োল, জাভি হার্নান্দেজ, সেস ফেব্রিগাস, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসসহ খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গরা।
মেসি-রোকুজ্জোর বিয়ের অনুষ্ঠাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থল রোজারিও সিটি সেন্টার থেকে শুরু করে পুরো শহরই মুড়ে দেয়া হয়েছিল বর্নিল আলোর ছটায়। এমন ঝলমলে আলোকোজ্জ্বল পরিবেশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে দুজন দুজনকে চুম খেয়ে শুরু করলেন জীবনের আরেকটি অধ্যায়।
মেসি-রোকুজ্জোর এই বন্ধন আজীবন অটুট থাকুক! তাদের নতুন জীবনের প্রাক্কালে এটাই শুভকামনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ১ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমএমএস