২০১১ থেকে ২০১৪ এ সময়ের মধ্যে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস, বার্সেলোনা ও স্পন্সর থেকে আয়ের রিপোর্ট দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছর নেইমারকে ৫৬.৭ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন কোর্ট।
নেইমার সিনিয়র বলছেন, কোনো অনিয়ম প্রমাণিত না হওয়ায় নেইমারকে মুক্ত ঘোষণা করেছেন আদালত এবং এই মামলাটি এখন ‘অফিসিয়ালি বন্ধ’। বেশ উচ্ছ্বাসই ঝরেছে তার কণ্ঠে, ‘কর ফাঁকির অভিযোগ বাতিল করার খবর পেয়ে আমরা আনন্দিত। কার্যক্রম অানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে, এটা প্রতিটি আইনি কাজের ওপর আইনের বিধানের দিকটি প্রমাণ করেছে যেগুলো আমরা গ্রহণ করেছিলাম। ’
‘এই চার বছরে মিথ্যা অভিযোগে আমি, আমার পরিবার ও আমাদের কর্মচারীদের সবদিক থেকে অনেক ভুগতে হয়েছে। কিন্তু অনেক মানুয়ের সন্দেহ ছিল, আমাদের দেশে ন্যায়বিচার আছে। অভিযোগের পর অভিযোগ, একটার পর আরেকটা, সবকিছু আমাদের দৃঢ়তার কাছে পরাজিত হয়েছে। এটা পরিষ্কার যে আমরা এক পয়সাও ট্যাক্স ফাঁকি দিইনি। আশা করি এখন শুধুমাত্র নিজেদের কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারবো এবং আমি ও আমার পরিবার শান্তিতে থাকতে পারবে যেটা আমরা প্রত্যাশা করি। ’-যোগ করেন নেইমার সিনিয়র।
২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে বার্সায় পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান সেনসেশেন নেইমার। প্রকৃত ট্রান্সফার ফি লুকানোর অভিযোগের জের ধরে কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠে। পরে তা আদালতে গড়ায়। দীর্ঘ সময় পর নিজ দেশে মুক্তি পেয়েছেন। এই রায়ের প্রভাব স্পেনের আদালতে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম