রাশিয়া আয়োজক হওয়ায় দেশটিকে কোনো বাধা ডিঙ্গাতে হচ্ছে না। অনুমিতভাবেই তারা আগামী বছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপীয় অঞ্চল:
ইউরোপের উয়েফা অঞ্চল থেকে সবার প্রথম বেলজিয়াম বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে। পরে একে একে ইংল্যান্ড, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, স্পেন, পোল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও সার্বিয়া বিশ্বমঞ্চে জায়াগা পায়। এই অঞ্চলে ৯টি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি রাশিয়ায় খেলবে। সেরা ৮ রানারআপ খেলবে প্লে-অফ।
কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) অঞ্চল:
সবচেয়ে বাজে সময় যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা তথা কনমেবল (ল্যাটিন) অঞ্চলে। ১০ দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। সেলেকাওরা অবশ্য সবার প্রথমই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে (গত মার্চে)। তবে প্রায় নিশ্চিত হয়ে আছে উরুগুয়ে। এই অঞ্চল থেকে ৪টি দলের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ থাকবে এবং অন্য একটি দল প্লে-অফ খেলে উঠে আসবে চূড়ান্ত পর্বে।
কনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা) অঞ্চল:
উত্তর আমেরিকার কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সবার প্রথম মেক্সিকো বিশ্বকাপে সুযোগ পায়। পরবর্তীতে কোস্টারিকাও জায়গা করে নেয়। এই অঞ্চল থেকে তিনটি দল সরাসরি খেলবে, চতুর্থ দলকে খেলতে হবে প্লে-অফ।
এশিয়া অঞ্চল:
এশিয়ার এএফসি অঞ্চল থেকে ইরান, সৌদি আরব, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার টিকিট কেটেছে। এ অঞ্চলে ৪টি দলই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। একটি দল প্লে-অফ খেলে আসবে।
আফ্রিকা অঞ্চল:
আফ্রিকার সিএএফ অঞ্চল থেকে ২৮ বছর পর মিশর বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে। সেই জায়গা পেয়েছে আফ্রিকার ঈগল খ্যাত নাইজেরিয়া। ৫টি দলের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আছে এই অঞ্চল থেকে। তবে প্লে-অফ খেলার কোনো সুযোগ নেই।
ওশেনিয়া অঞ্চল:
অস্ট্রেলিয়া এশিয়ান অঞ্চলে যোগ দেওয়ায় এই অঞ্চল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ডই শীর্ষস্থান পেয়েছে এ অঞ্চলে। প্লে-অফে তাদের প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের পঞ্চম স্থানের দলের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস