সুইস অ্যাটর্নি জেনারেলের (ওএজি) দফতর জানিয়েছে, এই তদন্ত শুরু হয়েছে গত মার্চ মাসে। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছে।
আল-খিলাইফি কাতারে ‘বিইন’ নামক একটি ক্রীড়া সম্প্রচার সংস্থার সত্তাধিকারী। এই সংস্থার শাখা পাঁচটি উপমহাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ওএজির সন্দেহ, এই সংস্থার অধিকর্তা হয়েও বহু বেআইনি কাজে যুক্ত ছিলেন আল-খিলাইফি। কিন্তু এই সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নাকচ করেছে।
গত আগস্টে সংবাদ শিরোনামে বার বার উঠে আসে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিতে নেইমারের বিশাল অঙ্কের দল বদলের খবর। এই নিয়ে অবশ্য কোনও তদন্তের কথা উল্লেখ করেনি ফিফা।
কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, আগামী চারটি বিশ্বকাপের সম্প্রচার স্বত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভাল্কে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে নানা সুবিধাও আদায় করেছেন। নাসের আল-খিলাইফিও এই একই অপরাধে তার সঙ্গী বলে মনে করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ২০১৮ এবং ২০২২-এর বিশ্বকাপ যথাক্রমে রাশিয়া ও কাতারে। ২০২৬ ও ২০৩০ বিশ্বকাপ কোথায়, তা এখনও ঠিক হয়নি।
ভাল্কে ফরাসি বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিক। তাকে গত বছর ফিফার দুর্নীতি কান্ডের পরে সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পরে তাকে ১০ বছর ফুটবল বিশ্ব থেকে নির্বাসিত করে ফিফা। কিন্তু তাতেও তাকে দমানো যায়নি। চর্চায় রয়েছেন আল খিলাইফিও।
২০১১ সালে পিএসজিকে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি সংস্থা কিনে নেয়। ২২২ মিলিয়ন ইউরো (১৭০৪ কোটি টাকা) ব্যয় করে নেমারের দল বদলের পরে পিএসজি এর মালিকের উপর সন্দেহ আরও বাড়ে ফিফার।
ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইসব দুর্নীতি কাটিয়ে উঠতে মরিয়া ফুটবল বিশ্ব। কতো দ্রুত সেটা হয়, সেটাই দেখার।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস