চ্যাম্পিয়নস লিগে অলিম্পিয়াকোসের মাঠে ভুলে থাকার মতো আরেকটি হতাশার রাত সহ্য করতে হয়েছে সুয়ারেজকে। গোলশূন্য ম্যাচে একাধিক সুযোগ মিস করেছেন।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২০১৭-১৮ সিজনে মাত্র তিনবার লক্ষ্যভেদ করেছেন সুয়ারেজ। চ্যাম্পিয়নস লিগে চার ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। বলা চলে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন সাবেক লিভারপুল তারকা।
অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে জিতলেই গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ হাতে রেখে নকআউট পর্বে (শেষ ষোলো) উঠে যেত বার্সা। টানা তিন ম্যাচ জেতার পর পয়েন্ট খুইয়ে অপেক্ষাটা বাড়লো। সুয়ারেজের পাশাপাশি ছন্দে থাকা লিওনেল মেসিও গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
ফিনিশিং দুর্বলতায় পড়তি ফর্মের কারণে সুয়ারেজের আত্মবিশ্বাসও তলানিতে। বার্সার জন্য ব্যাপারটি খুবই উদ্বেগজনক। এই মৌসুমে ১৩টি ম্যাচ খেলে মাত্র তিনবার স্কোরশিটে নাম লেখাতে পেরেছেন। যা তার নামের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।
ফর্মহীনতা ও নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ের কারণও রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই হাঁটুর ইনজুরি আক্রান্ত হন তিনি। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শতভাগ ফিটনেস ছাড়াই উরুগুয়ের হয়ে ধকল সামলাতে হয়।
আরও কারণ বলা যেতে পারে। নেইমারের বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়া, সামার সাইনিং ওসমান দেম্বেলের ইনজুরিতে সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছেন সুয়ারেজ! কোচ আর্নেস্টো ভালভার্ডের বারেবারে কৌশল পরিবর্তন ও মেসির সেন্টারে (আক্রমণভাগ) ফেরাটা তার জন্য সহায়ক হচ্ছে না।
কিন্তু নিজের সেরা ফর্মে থাকলে তার খেলায় এসবের কোনো কিছুই প্রভাব ফেলবে না। সেটিই মনেপ্রাণে চাইছে বার্সা। কারণ সুয়ারেজের বর্তমান ফর্ম নিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্টদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে পড়বে।
২০১৪ সালে লিভারপুল ছেড়ে ন্যু ক্যাম্পে পাড়ি জমান সে সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা সুয়ারেজ। প্রথম মৌসুমেই বার্সার জাসিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেন। গোলস্কোরিংয়ে অবশ্য নিজের সেরা রূপ দেখাতে পারেননি (৪৩ ম্যাচে ২৫)। পরের সিজনেই ‘গোলমেশিন’ ট্যাগ ফিরে পান। ৫৩ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান ৫৯ বার। গতবার ৫১ ম্যাচে করেন ৩৭ গোল। এবার ফর্মের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কে জানে! খুব শিগগিরই হয়তো বাজে সময়টাকে পেছনে ফেলবেন পরীক্ষিত লুইস সুয়ারেজ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ১ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম