একেবারে শেষ মিনিটে সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত নেইমারের বার্সা ছাড়ার বিষয়টি জানতেনই না মেসি। গত আগস্টে রিলিজ ক্লজের পুরো ২২২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে ট্রান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে ন্য ক্যাম্প থেকে ভাগিয়ে আনে ফ্রেঞ্চ জায়ান্ট পিএসজি।
এখন আবার গুঞ্জন উঠছে, অদূর ভবিষ্যতে নাকি কাতালানদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ পাড়ি জমাবেন নেইমার! দখল করবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘শূন্যস্থান’। এ নিয়ে আলোচনা সবার মুখেমুখে।
নেইমারের দলবদল নিয়ে নাটক কম হয়নি। বার্সার ট্রেনিং গ্র্রাউন্ডে এসে প্রথমবার নিজ মুখে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করার আগ পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা কাজ করছিল। সামার ট্রান্সফার উইন্ডোতে যা ছিল ‘টক অব দ্য ফুটবল’। সরগরম ছিল সংবাদমাধ্যম।
গত জুনের শেষদিকে আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জমকালো আয়োজনে দীর্ঘদিনের বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মেসি। সেখানেই নেইমারের বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন জাভি ও পিকে। গত আগস্টে পিকে ও গত মাসে ব্যাপারটি সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন বার্সা কিংবদন্তি জাভি।
প্রাক মৌসুমের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নেইমারের কাছাকাছি থেকেও নেইমারের মনের কথা আঁচ করতে পারেননি মেসি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন আর্জেন্টাইন আইকন। সেখানেই ইএসপিএন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা তুলে ধরেন বার্সার প্রাণভোমরা।
টিমমেট ক্লাব ছাড়বেন তা জানতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেসির ভাষ্য, ‘সত্যি বলতে, না। ট্যুরের (প্রাক মৌসুম) শেষদিন পর্যন্ত আমরা কথা বলেছি এবং আমরা কিছুই জানতাম না। সে বলেছিল কি করতে হবে তা তার কাছে পরিষ্কার ছিল না এবং কি করছে তাও সে জানতো না। অন্যরা বলেছে তারা জানতো। কিন্তু শেষ মিনিট পর্যন্ত আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ’
লুইস সুয়ারেজ বলেছিলেন ক্লাব ছাড়া নিয়ে নেইমার অনিশ্চিত ছিলেন এবং সতীর্থকে উপদেশও দিয়েছিলেন তিনি। মেসির মুখ থেকেই তা শোনা যাক, ‘আমরা তাকে বার্সায় রাখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কখনো আমরা তাকে বলিনি ‘নেইমার, যেও না কারণ তুমি সুখি হতে পারবে না। ’ আমরা তাকে বলেছিলাম আমাদের জন্য তোমাকে ছাড়তে চাই না। কিন্তু যদি সে চলে যেতে চায়, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা তার ছিল। আমাদের যে বন্ধুত্ব ছিল, তার চলে যাওয়াটা ছিল কষ্টদায়ক। ’
ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ে নেইমারের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ১১টি গোল করেছেন। শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে লিগ ওয়ানে (ফ্রেঞ্চ লিগ) চার পয়েন্টের লিড নিয়ে শীর্ষে পিএসজি এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘বি’ গ্রুপে তা বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ে তিন পয়েন্ট এগিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ৯ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম