বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় খেলার সুবাদে সতীর্থ ও বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন অনেক স্প্যানিশ ফুটবলারকে। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি ইস্কো-অ্যাসেনসিওদের মতো একঝাঁক তরুণ প্রতিভাবানদের সমন্বয়ে এবার অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে শক্তিশালী স্পেনকে এড়াতে চান মেসি। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে এখন রাশিয়ায় অবস্থান করছেন বার্সার প্রাণভোমরা। সেখানেই এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে কোন দলকে গ্রুপ পর্বে এড়াতে চান এমন প্রশ্নে স্পেনকে চিহ্নিত করেন ত্রিশ বছর বয়সী মেসি। বলা বাহুল্য, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার হতাশা ভুলে রাশিয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে চোখ রাখছে স্প্যানিশরা।
‘আমি স্পেনের বিপক্ষে খেলতে পছন্দ করবো না, তারা অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যাদের আমরা গ্রুপ পর্বের ড্রতে পেতে পারি। তারা সবকিছু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সবকিছু তাদের আছে। এর চেয়ে বরং আমি তাদের এড়াতে চাই। তারা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। ’
বার্সার হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর (বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার) জয়ী। ২০০৫ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ও ২০০৮ সালে দেশকে অলিম্পিক গোল্ড মেডেল এনে দিলেও আর্জেন্টিনার সিনিয়র টিমের জার্সিতে মেসির অর্জনের খাতাটা এখনো শূন্য। চারটি ফাইনাল (কোপা আমেরিকায় তিনবার) খেলেও না পাওয়ার হতাশায় ডোবেন দিয়েগো ম্যারাডোনার উত্তরসূরি।
বয়স বিবেচনায় এটাই হয়তো মেসির ‘শেষ সুযোগ’। তার চোখে আর্জেন্টিনা ছাড়া ফেভারিট কারা? স্পেনের পাশাপাশি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও ফ্রান্সকে টাইটেলের দাবিদার হিসেবে দেখছেন।
সবাইকে ছাড়িয়ে সব চ্যালেঞ্জ জয় করে আর্জেন্টিনাকে বহুল কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটা এনে দিতে পারবেন তো বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপে তোলা লিওনেল মেসি? দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে যেই স্বাদ আর্জেন্টাইনরা পেয়েছিল সেই ১৯৮৬ সালে।
মেসিময় রাশিয়া বিশ্বকাপ নাকি মেসির চোখে ফেভারিটরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আসনে বসবে তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ৯ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরএম