অন্য দেশের তারকাদের মতো জার্মানির খেলোয়াড়রা ক্লাব ফুটবলে অতটা আলো না ছড়ালেও জাতীয় দলের জার্সিটা গায়ে চাপালেই জ্বলে ওঠেন বিশ্বসেরা মহাতারকাদের মতোই। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই মাঠে নামবে জার্মানরা।
টানা দ্বিতীয় শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে টপকে বর্তমান র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা জোয়াকিম লো’র জার্মানি। তবে, এই জার্মানিকেও ফেভারিটদের কাতারে রাখতে পারছেন না গতবারের রানার্সআপ আর্জেন্টিনার কোচ জর্জ সাম্পাওলি।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে মেক্সিকো বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা পেয়েছিল দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। ঠিক চার বছর পর, ইতালিতে ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে সেই আর্জেন্টিনা-জার্মানি। দুই লাল কার্ডে নয়জনের দলে পরিণত হয় আর্জেন্টিনা। আর রেফারি এডগার্ডো কডেসালের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় জার্মানি। আন্দ্রেস ব্রেইমের গোলে ম্যাচ জেতে জার্মানি।
২০০২ জাপান বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল জার্মানি। ব্রাজিলের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় দলটি। তারও আগে জার্মানরা ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে, ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে হেরেছে। বিশ্বকাপে জার্মানদের কাছে সবচেয়ে বড় ‘ট্র্যাজেডি’ ২০০৬ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে শিরোপা জিততে না পারা।
গত ব্রাজিল বিশ্বকাপের স্মৃতি তো জ্বলজ্বলে। ফাইনালে সেই আর্জেন্টিনা-জার্মানি। নির্ধারিত সময়ের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে গোলের দেখা পায়নি মেসির আর্জেন্টিনা আর ফিলিপ লামের জার্মানি। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচের ১১৩ মিনিটের মাথায় মারিও গোতজের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জোয়াকিম লো’র শিষ্যরা। রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়েই নামবে জার্মানি। এবার কাপ জিতলে ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড গড়বে জোয়াকিম লো’র শিষ্যরা। ব্রাজিল টানা দুইবার জিতেছিল ১৯৫৮ আর ১৯৬২ সালে।
প্রতিটি বিশ্বমঞ্চে পূর্ণোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়া জার্মানদের ভিন গ্রহের কোনো দল মনে হচ্ছে না আর্জেন্টাইন কোচের। তার মতে, ‘জার্মানি কোনো অপ্রতিরোধ্য দল নয়। আমার সাফ কথা, জার্মানির খেলা আমার ভালো লাগে না। এই বিশ্বকাপে আমি ব্রাজিল, ফ্রান্স আর স্পেনকে আর্জেন্টিনার থেকে এগিয়ে রাখব। জার্মানির নাম না নিলেও তাদের ভুলে যাচ্ছি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, ২৮ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি