গত জানুয়ারির ঘটনার পর আবারো একই ঘটনা ঘটলো। মেসির ওপর কার এতো রাগ? এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
ঠিক কী কারণে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে তাও অজানা। বলা বাহুল্য, এর আগে মেসিকে পেছনে ফেলে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর দেওয়া ব্যালন ডি’অর ট্রফিও ওঠে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ সুপারস্টারের হাতে। এরপরই মেসির মূর্তির পা ভেঙে ফেলেছিল দুষ্কৃতিকারীরা। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আইরেস সরকার জানিয়েছে, দ্রুতই মেসির মূর্তিটি মেরামত করে আগের রূপ দেওয়া হবে।
চিলির কাছে শতবর্ষী কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর অনেকটা অভিমান থেকেই আর্জেন্টিনার জার্সিকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন মেসি। স্বদেশবাসী সহ গোটা ফুটবল বিশ্বই তার এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত বদলের আকুতি জানায়। মেসিকে ফেরানোর প্রচারণার অংশ হিসেবে তার সম্মানে মূর্তিটি উন্মোচন করেছিলেন সিটি মেয়র হোরাসিও রদ্রিগেজ। মেসির স্ট্যাচুটি রিও ডি লা প্লাতা নদীর তীরে অবস্থিত। আর্জেন্টাইন আইকনের সম্মানে করা মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়ই উঠেছে। বিশ্ব মিডিয়াতেও এটি বেশ আলোড়ন তুলেছে।
মেসি ছাড়াও সেখানে চলতি পথে আর্জেন্টিনার হকি লিজেন্ড লুসিয়ানা আইমার, দুই টেনিস তারকা গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনি ও গিলের্মো ভিলাস, বাস্কেটবল টিম সান অ্যান্তোনিও স্পারস আইডল মানু জিনোবিলি ও সাবেক ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হুয়ান ম্যানুয়েল ফানজিও সদৃশ ভাস্কর্য চোখে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
এমআরপি