রোববার (১০ ডিসেম্বর) দ্বিতীয়বারের মতো কলকাতা শহরে এসেছেন মারাদোনা। তারপর সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিং আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
তবে দেরিতে পদার্পণ করলেও উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করতে এক মিনিটও সময় লাগলো না! কালো টি-শার্ট ছিল পরনে। ঘনঘন উড়ন্ত চুম্বন, সেই চেনা আন্দোলিত মুষ্টিবদ্ধ হাত এবং চিরকালীন আবেগময়ী মারাদোনা।
তার নিজের বিশালাকার মূর্তির আবরণ উন্মোচন এবং ক্যানসার আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস মিলিয়ে উৎসবের পরিবেশে বিন্দুমাত্র ঘাটতি ছিল না। ক্যানসার আক্রান্তদের লড়াই করার মূলমন্ত্র দিয়ে গেলেন মারাদোনা। তারপর রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিজের মূর্তির অবয়ব উন্মোচন করেন তিনি। তারপর মঞ্চে রাখা বেশ কিছু ফুটবলে সই করে তা শট মেরে মারাদোনা উপহার দেন ফুটবলপ্রেমীদের।
সোমবার যদি তাকে ঘিরে এই উন্মাদনা থাকে দ্বীতীয় দিনে মঙ্গলবার তাকে নিয়ে কম উন্মাদনা ছিল না।
‘দাদা বনাম দিয়েগো ম্যাচ’র আগে বারাসাত স্পোর্টস কমপ্লেক্সে, ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্রায় শতাধিক পড়ুয়া ফুটবলার ছেলে-মেয়ের ওয়ার্কশপ করালেন৷ ভারতের মাটিতে এই প্রথম বল পায়ে ওয়ার্কশপ করালেন মারাদোনা। হাতে ধরে প্রশিক্ষণ দিলেন কীভাবে বল কিক করতে হবে৷ গোটা স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকলো। একের পর এক বল এগিয়ে দিচ্ছেন তিনি আর সেই বলে কিক করছে খুদে পড়ুয়াড়া৷
শুরুটা হয় মেয়ে ফুটবলারদের দিয়ে। মাঠে ওয়ার্কশপের আগে খুদে ফুটবলাররা ১০ নম্বর জার্সি পরে মারাদোনাকে স্বাগত জানান৷ ওয়ার্কশপের মধ্যে ক্যামেরাম্যানেদের সামনে বল পায়ে পোজ দিলেন৷ কখনও নিজে গোল করছেন, কখনও খুদেদের দিয়ে গোল করাচ্ছেন৷ গোল করার চেয়ে হেডমাস্টার, শিক্ষার্থীদের গোল করিয়েই এদিন যেন বেশি আনন্দ পেলেন৷
যদিও ‘দাদা বনাম মারাদোনা ম্যাচটি’ না খেলা হওয়ায় কিছুটা নিরাশ হন দর্শকরা। তবে কলকাতার দাদা সৌরভ খেলেছে তার দলের হয়ে। খেলার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন দাদা। প্রদর্শনী ম্যাচে জয়লাভ করে দাদা একাদশ। খেলার ফলাফল দাদা একাদশ ৩ মারাদোনা একাদশ ১।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
ভিএস/আইএ