বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ৪১ বছর বয়সী রোনালদো। খেলোয়াড়ী জীবনে স্পেনের সবচেয়ে সফল দু’টি ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার।
ব্রাজিলিয়ান কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে বার্সা ক্লাব কর্তৃপক্ষের সমস্যা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী রোনালদো। স্পষ্ট করে বলেছেন, নেইমারের বার্সা ছাড়ার পরিস্থিতির সঙ্গে তার নিজের সময়টার সঙ্গে অনেক মিল ছিল।
তরুণ বয়সে মাত্র এক মৌসুম (১৯৯৬-৯৭) কাটিয়েই তিক্ততা নিয়ে ন্যু ক্যাম্প ছেড়েছিলেন রোনালদো। গত আগস্টে চার বছরের বার্সা অধ্যায়ের ইতি টানেন ২৫ বছর বয়সী নেইমার। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ট্রান্সফার ফি’র বিশ্ব রেকর্ড প্যারিসে গিয়ে কাতালান ক্লাবটির বোর্ডের সমালোচনাও করেন ‘আগামীর বিশ্বসেরা’।
যাই হোক, রোনালদোর ভাষ্য বলা যাক। ব্রাজিলিয়ান টিভি চ্যানেল ‘এস্পোর্তে ইন্টারাতিভো’তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বার্সেলোনার চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। যদিও ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে সেরা বছর কাটিয়েছি বার্সায়। ’ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ওই মৌসুমে ৪১টি গোল করেছিলেন তিনি।
‘বার্সা ছাড়ার গল্পটা মোটেও সুখকর ছিল না। নেইমারের সঙ্গে যা হয়েছে তার সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার মিল অনেক। ’-যোগ করেন রোনালদো।
রোমারিও এবং পরবর্তীতে রোনালদিনহো বার্সায় সমস্যা আবিষ্কার করেছিলেন। সাবেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জিকোর কথায়, ‘সেখানে কোনো ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়ই এখন পর্যন্ত ব্যালন ডি’অর জিততে পারেনি। ’ বলা বাহুল্য, বর্ষসেরার মযার্দাপূর্ণ খেতাব ব্যালন ডি’অর না জিতলেও বার্সায় খাকার সময়েই দু’বার ফিফা বর্ষসেরা হয়েছিলেন রোনালদিনহো। তার পাঁচ বছরের (২০০৩-০৮) বর্ণাঢ্য বার্সা ক্যারিয়ারটা আরও লম্বা হতে পারতো বলে মনে করেন সমর্থকরা।
এতো অভিযোগ সত্ত্বেও শহর ও ক্লাব হিসেবে বার্সার প্রশংসা ঝরেছে রোনালদোর কণ্ঠে, ‘বার্সেলোনা একটি অসাধারণ শহর ও ফুটবল ক্লাব। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
এমআরএম