কিছুদিন আগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর এ তারকা লিগের ম্যাচে খেলতে গিয়ে গুরুতর চোট পান পায়ে। পরে অস্ত্রোপচার হলে প্রায় তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন।
বুধবার হকিংয়ের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর একটি বচন পোস্ট করেন নেইমার। যেখানে লিখেন, ‘তোমাকে সব সময় ইতিবাচক হতে হবে এবং তুমি যেখানে আছো সেখান থেকেই সেরাটি বের করে আনতে হবে’-স্টিফেন হকিং।
এই পোস্ট পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে যেই ছবি জুড়ে দিয়েছেন তার জন্যই যতো সমালোচনা। যেখানে খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় একটি হুইলচেয়ারে বসে আছেন নেইমার।
এরপরই মন্তব্যের ঘরে আসতে থাকে সমালোচনা। একজন লিখেন, কিছুদিনের জন্য হুইলচেয়ারে থাকাটা হকিংয়ের সারাজীবনের হুইলচেয়ারে অবস্থাকে ছোট করে দেখা হলো।
আরেকজন লিখেন, আমি নিশ্চিত নেইমারের শারীরিক অবস্থার এমন কোনো কিছু ঘটেনি যা, স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে তুলনা করতে হবে।
৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করা হকিং দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে নাড়াতে পারতেন না কোনো অঙ্গ। তাই সবসময় একটি ইলেক্ট্রিক হুইল চেয়ারে বসে থাকতেন তিনি। হুইল চেয়ারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ছিল একটি কম্পিউটার। এর সাহায্যেই চালাতেন পদার্থবিজ্ঞানের নানা গবেষণা। এমনকি কথাও বলতেন যন্ত্রের সাহায্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, ১৫ মার্চ, ২০১৮
এমএমএস