এক সাক্ষাৎকারে ৩৮ বছর রোনালদিনহো নিজেই এমন কথা প্রকাশ করেছেন। ইংলিশ জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তি সই থেকে নাকি তিনি ৪৮ ঘণ্টা সময় দূরে ছিলেন।
২০০৩ সালে ডেভিড বেকহামকে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পর ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী রোনালদিনহোকে টার্গেট করেন ম্যানইউ কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। বার্সা আগ বাড়িয়ে আসার আগে পিএসজির সঙ্গে রেড ডেভিলসদের আলোচনা প্রায় শেষদিকে ছিল।
রোনালদিনহোর কথায়, ‘ইউনাইটেডের সঙ্গে (চুক্তি সই) প্রায় হয়ে গিয়েছিল। এটা কেবল ৪৮ ঘণ্টা সময়ের ব্যাপার ছিল, কিন্তু প্রস্তাব লুফে নেওয়ার আগে সান্দ্রো রোসেল আমাকে বলেন: ‘যদি আমি বার্সা প্রেসিডেন্ট হাই, তুমি কি আসবে?’ আমি বলেছি, হ্যাঁ। ’
‘রোসেল যখন আমাকে বলেছিলেন তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন, তখন ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের জন্য কেবল বিস্তারিত কিছু বিষয় বাকি ছিল। এরপর আমি তাকে (রোসেল) বার্সার হয়ে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এটা খুব দ্রুত আলোচনা ছিল। আমি ইংলিশদের (ম্যানইউ) বলেছি, আমি বার্সাকে পছন্দ করেছি। ’-যোগ করেন রোনালদিনহো।
ম্যানইউকে এড়িয়ে যাওয়ার পর আর ইংলিশ ফুটবলের স্বাদ নেওয়া হয়নি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে নিজেকে বার্সার আইকনে পরিণত করেন দু’বারের ফিফা বর্ষসেরা। ন্যু ক্যাম্পে পাঁচ মৌসুমে দু’টি লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। বার্সা থেকে ২০০৮ সালে পাড়ি জমান এসি মিলানে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে যাওয়ার সুযোগটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত ছিলেন না রোনালদিনহো, ‘এটা সঠিক পছন্দ ছিল। ব্রাজিলিয়ানরা সবসময়ই বার্সাকে ভালোবাসে। সেখানে আমাদের একটা ইতিহাস আছে। আমরা সেখানে খেলে বরাবরই খুশি। আমি বার্সেলোনাকে অনেক মিস করি। সেখানে পাঁচটি চমৎকার সিজন কাটিয়েছি। এমন একটি ক্লাব যেটি স্ট্রাইকার ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পছন্দ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, ২৮ মার্চ, ২০১৮
এমআরএম