ম্যারাডোনার সেই অবিশ্বাস্য গোলের পর মাঠে লাইন্সম্যানের দায়িত্বে থাকা ডশেভ সঠিক সময়ে পতাকা তোলেননি। কিন্তু তিনি নাকি বুঝেছিলেন ওটা হ্যান্ডবল! ডশেভ পতাকা না তোলায় ইংল্যান্ড বিদায় নিয়েছিল সেবারের বিশ্বকাপ থেকে!
কিন্তু বুঝেও কেন পতাকা তোলেননি ডশেভ? কোনো কি ষড়যন্ত্র ছিল? বুলগেরিয়ার এই রেফারি কি তবে আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন? যে প্রশ্নগুলোর উত্তর বেঁচে থাকতে তিনি দিতে চাইলেও, কেউ মানতে চাননি! রাতারাতি খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন।
এবার ডশেভের মৃত্যুরও এক বছর পর সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার ঝুলির ফাঁস করলেন তারই স্ত্রী এমিলি। জানালেন, হ্যান্ড অফ গডের এক সপ্তাহ পর, ডশেভ এতই ক্ষিপ্ত ছিলেন যে, ’৮৬–র বিশ্বকাপজয়ী নায়কের ছবির পেছনে লিখেছিলেন, ‘ম্যারাডোনা, আমার কবর খুঁড়েছে’!
এমিলি আরও বলেন, ‘ওই ম্যাচে যিনি মূল রেফারি ছিলেন, তিনি আমার স্বামীকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘তোমায় কিছু করতে হবে না। মাঠে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, আমিই নেব’। ওই রেফারিকে আমি কোনো দিন ক্ষমা করব না। ম্যারাডোনাকেও না। ’
ঐ ম্যাচের পর ডশেভ ও তার পরিবারের জীবন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ‘বন্ধুদের থেকে বগডন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। আর বন্ধুরা? কোনো দিন আর আমাকে হ্যালো বলেনি! ওটা হ্যান্ড অফ গড ছিল না। ওটা ছিল, মুখে সজোরে লাথি। ’-যোগ করেন এমিলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ১২ মে, ২০১৮
এমএমএস