২০১৮ সালের কানে উপস্থিত আকর্ষণীয় রূপে উপস্থিত হয়েছিলেন রোনালদোর সাবেক প্রেমিকা ইরিনা শায়েক। তার ঝলমলে পোশাক উৎসবের রং কে আরও একটু বাড়িয়ে দিয়েছে যেনো।
কি ভাবছেন, ফুটবল ছেড়ে বুঝি অভিনয়ে নাম লেখিয়ে ফেলেছেন এই তারকা ফুটবলার। আসলে এমন কিছু নয়! ‘দিয়ামানতিনো’ নামের একটি সিনেমাই এই আলোচনার মূলে। প্রথম দেখায় ‘দিয়ামানতিনো’ নামের চলচ্চিত্রের নায়ককে রোনালদো বলেই মনে হবে। অনেকের ধারণা শুধু দেখতেই নয়, চলচ্চিত্রের ওই নায়কের চরিত্রও অনেকটাই মিলে যায় রোনালদোর সঙ্গে।
সিনেমায় ওই চরিত্রের নাম, দিয়ামানতিনো মাতামুরোস। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কারলাতো কত্তো। ছবিতে যিনি পর্তুগালের সুদর্শন এক তারকা ফুটবলার, গোলমেশিন বলে বিখ্যাত। রয়েছে নারী মহলে অন্যরকমের খ্যাতিও। সব মিলিয়ে কারলাতো কত্তোর ফুটিয়ে তোলা ওই চরিত্র দেখে যে কারো মাথায় রোনালদোই চলে আসবে।
চরিত্রের প্রয়োজনেই অভিনেতার শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও চেহারার আদল রোনালদোর মতো প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি রোনালদো উঠতি বয়সের নিত্যসঙ্গী কানের দুলও আছে দিয়ামানতিনোর কানে। এই সিনেমা দেখলে যে কারোই বুঝতে সমস্যা হবে না, পরিচালক যুগল গ্যাব্রিয়েল অ্যাব্রান্তেস ও ড্যানিয়েল স্মিট রোনালদোর আদলেই সিনেমার মূল চরিত্রটা গড়েছেন।
চলচ্চিত্রটির অনেকটাই রোনালদোর বায়োপিকও বলা যায়। শুরতেই দেখানো হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে পর্তুগালের হয়ে পেনাল্টি মিস করেছেন দিয়ামানতিনো। সে রাতেই বাবার মৃত্যুর খবর পান। ক্যারিয়ারে নেমে আসে অন্ধকার। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন করে জীবনকে সাজিয়ে তোলার মিশনে নামেন তিনি। একের পর এক বাঁধা হয়ে আসলেও ভেঙ্গে পড়েন না। ফ্যাসিবাদ, জিনগত পরিবর্তন, সমকামিতা, শরণার্থী সমস্যা, এমন সব বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে চলচ্চিত্রের কাহিনী।
এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সঙ্গে কানে চলে আসেন ফুটবল জগতে সিআর সেভেন খ্যাত রোনালদোও।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫, মে ১৩, ২০১৮
এমকেএম/এমএমএস