২০০৩ সালে যখন নিজ দেশ পর্তুগালের ক্লাব পোর্তো থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে পা রাখেন রোনালদো, তখন কৈশোর পেরোনো এক তরুণ ফুটবলার। কিন্তু অল্পদিনেই সেই তরুণ নিজের অসাধারণ গোল করার ক্ষমতা প্রদর্শন করে সবাইকে চমকে দিলেন।
রোনালদো ইংল্যান্ডে খেলা প্রথম খেলোয়াড় যিনি প্রধান ৪টি পিএফএ এবং এফডব্লিউএ জিতেছেন। ম্যানইউয়ে ২৯২ ম্যাচ খেলে ১১৮ গোল করেছেন রোনালদো। ২০০৮ সালে প্রথম ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বাদও তিনি এখান থেকেই পেয়েছেন। ২০০৩-২০০৯ পর্যন্ত সময়ে এই ক্লাবের হয়ে ৩টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ও ২০০৭-৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বাদ পান তিনি।
ম্যানইউ’র হয়ে এতো এতো সাফল্য তাকে ক্লাবটির ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়দের কাতারে নিয়ে গেছে। এই দলে জর্জ বেস্ট, ডেভিড বেকহ্যাম, রায়ান গিগস, পল স্কোলসের মতো তারকারা খেলেছেন। সদ্য প্রকাশিত এক জরিপে গত ১০০০ ম্যাচের লিগ ম্যাচে ক্লাবটির হয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রোনালদো। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন গিগস ও স্কোলস।
ম্যানইউ’র আরেক সাবেক তারকা ওয়েইন রুনির কথাও ভুলে যায়নি সমর্থকরা। তাকে ক্লাবের প্রথম ১০০০ লিগ ম্যাচের সেরা গোলের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন রুনি। ২০১০-১১ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানসিটির বিপক্ষে হেডে করা তার গোলটি সেরা গোলের মর্যাদা পেয়েছে। এই ক্ষেত্রে রুনি পেছনে ফেলেছেন রোনালদো ও রবিন ভন পার্সিকে।
২০০৮-৯ মৌসুমে আরও একটি ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ৪-৩ গোলে জেতার ম্যাচটি সেরা ম্যাচের তকমা আর ওই ম্যাচে দুর্দান্ত সেভ করে সেরা সেভের তকমা গেছে ডেভিড ডি গিয়ার দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এমএইচএম/জেডএস