পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ মসজিদপাড়া এলাকার ইউনুস আলী খাঁনের ছেলে ইসমাইল। জন্মগতভাবে কথা বলতে পারেন না ইসমাইল।
জানা যায়, তিন বছর ধরে গোলকিপারি ছেড়ে এলাকার খেলা পরিচালনা করছেন তিনি। যেকোনো জায়গায় ফুটবল খেলা হলে ডাক পড়ে তার। তার রয়েছে নিজস্ব খেলোয়াড়ের পোশাক পরিচ্ছদ। রেফারি সহকারীর হাতের পতাকা, খেলোয়াড়ের নাম্বার প্লেট, পায়ের বুটসহ ফুটবলের সরঞ্জামাদী।
কালীগঞ্জ সুপার স্টার ফুটবল অ্যাকাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমাদের এলাকায় যখনই ফুটবল খেলা হয় তখনই আমরা ইসমাইলকে ডেকে আনা হয়। তিনি সুন্দরভাবে খেলা পরিচালনা করেন। তার খেলা পরিচালনায় রয়েছে নিরপেক্ষতা, উভয়দলই তার কাছে সমান।
কালীগঞ্জে প্রধানাবাদ গ্রামের ফুটবলের ধারাভাষ্যকার শহিদুল ইসলাম শুভ বাংলানিউজকে জানান, ইসমাইল হোসেন একজন দক্ষ খেলোয়াড় সেই সঙ্গে একজন অভিজ্ঞ রেফারি। তার খেলা পরিচালনা অনেকটাই দক্ষ বলতে হয়।
জানা যায়, ইসমাইল হোসেন খেলার সরঞ্জামাদী ভাড়াও দিয়ে থাকেন। বাড়ির সঙ্গে রয়েছে তার নিজস্ব লন্ডির দোকান। সেখান থেকেই বিভিন্ন জায়গার ফুটবল খেলার খোঁজ খবর নেন তিনি। সম্প্রতি ফুটবল খেলা পরিচালনার জন্য মেটাল প্লাস আইশার ট্রাক্টর কর্তৃক পুরষ্কৃত হন ইসমাইল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এনটি