মাঠে রেফারির দৃষ্টির অগোচরে অনেক ঘটনা ঘটে যা পরবর্তীতে বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোল হলো কিনা, পেনাল্টি কিক দেবার মতো কোনো ফাউল হয়েছে কিনা কিংবা লাল কার্ড দেবার মতো কিছু ঘটেছে কিনা অথবা একজনের ফাউলের শাস্তি অন্যজনের উপর বর্তেছে কিনা সেসব রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।
ব্রিটিশ পত্রিকা সানডে টাইমসকে আইএফএবির টেকনিক্যাল পরিচালক ডেভিড এল্লেরে জানিয়েছেন, ‘যদি কোনো ঘটনা রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায় এবং পরে সেই ঘটনা ভিডিও এসিসস্ট্যান্ট রেফারির নজরে আসে, তাহলে মাঠে দায়িত্বরত রেফারিকে তারা বিষয়টি জানাতে পারবেন। রেফারি তখন খেলোয়াড়টিক লাল কার্ড দেখাতে পারবেন। খেলা শেষেও ওই খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানোর সুযোগ থাকবে। তবে এমন অপ্রিয় কাজ আশা করি ভিএআর দিয়ে করতে হবে না। ’
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে দুটি টুর্নামেন্টের খেলায় ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিলো। সেই ম্যাচগুলোতে এই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রেফারি।
এই প্রযুক্তি মূলত পঞ্চম রেফারির ভূমিকা পালন করবে। সুবিধাটা হচ্ছে, মাঠের পাশেই মনিটরে রিপ্লে বা ভিডিও ফুটেজ দেখে রেফারি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ফলে ক্রিকেটের মতো এখন ফুটবলেও কখনো কখনো রেফারিকে দুই হাত দিয়ে চারকোণা টিভি স্ক্রিনে সংকেত দেখাতে দেখা যাবে। তবে এই সুযোগ এক ম্যাচে মোট কতোবার নেয়া যাবে তা জানা যায়নি। তবে যতোটুকুই ব্যবহার হোক-ভিএআরের কারণে এখন থেকে সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবলে যে একটা বড় পরিবর্তনের সূচনা হতে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ঘন্টা, মে ৩০, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস