অন্যদিকে এস্পানিওলের রক্ষণভাগে এসে ঘোলা জল খেতে হয়েছে হুলেন লোপেতেগির দল রিয়ালকেও। তবে বারবার গোলের সুযোগ মিস করে মার্কো আসেনসিওর কিছুটা সৌভাগ্যপ্রসূত গোলে জয় নিয়ই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতে জয়ের ধারায় ফিরেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। গত সপ্তাহেই অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে এস্পানিওল। অধিকাংশ সময় রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের পায়েই বল থেকে যায়। কিন্তু আক্রমণে যেতেই এস্পানিওলের শক্ত রক্ষণ প্রাচীরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ঠিক সুবিধা করতে পারছিলেন না লোপেতেগিরা শিষ্যরা। বরং ৩৫ মিনিটে গোলের হজম করা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় রিয়াল।
খেলার ৪১ মিনিটে করিম বেনজেমাকে লক্ষ্য করে লুকা মদ্রিচের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে সহজে পেয়ে যান মার্কো আসেনসিও। কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার।
অফসাইডের সন্দেহে শুরুতে গোলের বাঁশি বাজালেন না রেফারি। ভিএআর’র মাধ্যমে সন্দেহ দূর হলে উল্লাসে মেতে ওঠেন বার্নাব্যুর দর্শকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে ইসকোর বাঁকানো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আবার ৭৪ মিনিটে সার্জিও রামোসের অসাধারণ হেড দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
এর আগে ৬৪ মিনিটে রামোসের ভুলেই গোল খেতে যাচ্ছিল রিয়াল। গোলের নেশায় ছুটে আসা এস্পানিওলের ফরোয়ার্ড বোরহাকে লক্ষ্য করেননি রিয়াল অধিনায়ক। সে যাত্রায় বোরহার গোলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক কোর্তোয়া। আবার ৭৫ মিনিটে রামোসের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল ব্যবধান বাড়াতে পারতেন ইসকো। এবার অবশ্য এস্পানিওল গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়ান।
সমতায় ফিরতে ম্যাচের শেষ দিকে আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করে অতিথিরা। ভীতি ছড়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি দলটি। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লীগের শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে চলে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ