ছয় দেশের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। ফুটবলের মেগা এই আসরের উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
উদ্বোধনী খেলায় স্বাগতিক বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল মুখোমুখি হবে লাওস জাতীয় ফুটবল দলের। ফিফা ৠাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসকে হারিয়ে বিজয় সূচনা করতে চায় স্বাগতিকরা।
লাওস জাতীয় ফুটবল দল হলেও দলের মধ্যে জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় নেই। দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়দের এই দলে বেশি রয়েছেন। যে কারণে অতটা শক্তিধর নয় টুর্নামেন্ট খেলতে আসা লাওস। ফলে স্বগতিকরা জয়টা সহজেই তুলে নিতে পারেন।
লাল-সবুজের ফুটবল দল ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের কাছে পরাজয়ে পর বছর তিনেক অন্ধকারে ছিলো। ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ প্রায় সতেরো মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ওই দিন প্রতিপক্ষ ছিলো লাওস। বাংলাদেশের চেয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসের বিপক্ষে দারুণ এক ম্যাচে ড্র করে অন্ধকার থেকে যেনো আলোয় আসে বাংলাদেশের ফুটবল। সেদিন ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল।
সিলেটের ফুটবলার আবু সুফিয়ান সুফিল ও জাফর ইকবালের দুর্দান্ত গোলে সেদিন ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ছয় মাস পর আবারো বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই লাওস।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াচ্ছে আজ সোমবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এবার জয় দিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করতে চায় বাংলাদেশ। দলের শীর্ষদের নিয়ে কোচ জেমি ডে‘র এমন মন্তব্য-তার দল জয়ের জন্যই মাঠে নামবে।
বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে বলেন, সাফের পর দল এখন ভাল অবস্থানে আছে। দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবকিছু মিলিয়ে দলের মানসিক অবস্থা বেশ ভাল। আমরা টুর্নামেন্টে জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। লাওসের বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছেই ভাবছি না।
দলের তরুণ ফুটবলারদের প্রশংসা করে কোচ বলেন, আমরা শিরোপা জিততে চাই, এটাই আমাদের দলগত লক্ষ্য। সাফের পর আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই।
দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াও বলেন, এবার আমরাই ফেবারিট। লাওসের বিপক্ষে জয় চাই। প্রথম ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনাল ওঠা সহজ হবে। অবশ্য স্বাগতিক দল হওয়াতে কিছুটা চাপে আছেন স্বীকার করেন অধিনায়ক।
তিনি বলেন, চাপতো রয়েছেই। এই চাপকে জয় করতে চাই। দর্শকদের ভাল ফুটবল উপহার দিতে চাই।
লাওসের কোচ মাইক ওং মুন হেঞ্জের মতে, বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। তবে নিজেদেরকেই ফেভারিট রেখে বলেন, স্বাগতিকরা সব সময়ই এগিয়ে থাকে। ‘স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা কঠিন হবে। অবশ্য লাওস প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলবে। লড়াই হবে দারুণ। ’
লাওসকে হারিয়ে সাফ ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা উপহার দিয়ে শিরোপা দৌড়ে এগিয়ে যেতে চান জামালরা। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এখন কেবল অপেক্ষার পালা উদ্বোধনী খেলায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শুরুটা কার ভাল হচ্ছে- বাংলাদেশের না লাওসের? সেই অপেক্ষায় রয়েছেন ফুটবল প্রেমীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘন্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
এনইউ/এমএমএস