কিন্তু হট ফেভারিট ফিলিস্তিনের সঙ্গে সমীকরণ উৎরে যাওয়াটা যেন হিমালয়ের চূড়ায় ওঠার মতো!
মাত্র এক ফরওয়ার্ড নিয়ে মাঠে নামা নেপালের ফর্মেশনও ছিল ডিফেন্সিভ ৪-৫-১।
এ যেনো পাল্টা আক্রমন বা জেতার নয়, নয়, গোল থেকে নিজেদের রক্ষার ফর্মেশন।
আর এই গোলের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ৫ম আসরে সেমিতে খেলার স্বপ্নের পরিবর্তে বিদায় ঘণ্টা বাজে নেপালের।
অবশ্য ফেভারিট ফিলিস্তিনের খেলয়াড়দের একের পর এক আক্রমন ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিলেন নেপালের গোল রক্ষক বিকেশ কুথু। নতুবা গোলের ব্যবধান হতে পারতো ৪-০! যে কারণে খেলা শেষে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন তিনি।
একদিকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফিলিস্তিন। অন্যদিকে সেমিফাইনালে উঠেছে তাজিকিস্তানও।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য ড্র। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে গোলের দেখা পায় ফিলিস্তিন।
জাজিরের দুর্দান্ত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান খালেদ সালিম।
ফিলিস্তিনের গোলকিপার যখন মাঝে মধ্যে ওপরে উঠে এসেছেন তখন বিকেশকে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে গোলবার সামলাতে।
ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিট ছিল এলোমেলো ফুটবলের প্রদর্শনী। মাঝমাঠে উভয় দল বল নিয়ে যেমন খুশি তেমন মারো ফুটবলই যেন খেলছিল।
মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেপালের ডিফেন্সে আক্রমণের ঝড় তুলে দেন খালেদ সালিম, হেলাল মুসারা।
২২ মিনিটে হেলাল মুসার ক্রসে মাথা ছুঁইয়েছিলেন খালেদ। কিন্তু অল্পের জন্য বল যায় বাইরে।
২৭ মিনিটে নেপালের সুনীল বলের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন বিশাল রায়। ৩১ মিনিটে হেলালের ক্রস থেকে বল পেয়ে বক্সে শট নিয়েছিলেন সামেহ মারাবা। তবে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেননেপালের গোলরক্ষক বিকেশ কুথু।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে বক্সে ফিলিস্তিনের ইসলাম বার্তানের শট পোস্ট ঘেষে বাইরে যায়। ৫৯ মিনিটে আব্দুল্লাহ জাজিরের ক্রসে সামেহ মারাবার হেড ফিস্ট করেন নেপালের গোলরক্ষক।
গোলের জন্য মরিয়া ফিলিস্তিন এ সময়ে আক্রমণের ঢেউয়ে নেপালের ডিফেন্সকে ভাঙার চেষ্টা করে। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা নেপালের ডিফেন্স হয়ে পড়ে এলোমেলো।
এই সুযোগেই ৬৯ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ম্যাচে দারুণ খেলা খালেদ সালিম। তার এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
এনইউ/এসআইএস